পরকীয়ার জের ধরেই নোয়াখালীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক ওমানপ্রবাসী আলতাফ হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রং নাম্বারে কলের সূত্র ধরে গত চার মাস আগে ওমানপ্রবাসী আলতাফ হোসেনের (২৮) সাথে নুর নাহার বেগমের (৪০) পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে নুর নাহার বেগম প্রবাসী আলতাফকে দেশে এসে ব্যবসা করতে বলে। ব্যবসায়ের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে আলতাফকে আড়াই লক্ষ টাকা দেয়ার আশ্বাস দেন নুর নাহার। তার আশ্বাসে ওমানের ভিসা বাতিল করে ৮ জুন পরিবারের সবার অজান্তে দেশে ফিরে আসে আলতাফ। দেশে এসে টাকার জন্য নুর নাহারের বাসায় ৪-৫ বার দেখা করে টাকা দিতে বললে- নুর নাহার কালক্ষেপন করতে থাকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নুর নাহারের ক্ষতি করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি নিতে থাকে আলতাফ।
আবার টাকা চাওয়ার জন্য বুধবার নুর নাহারের বাসায় গেলে সে আজও টাকা দিতে অস্বীকার করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সাথে নেয়া নতুন একটি ছোরা দিয়ে এলোপাতাড়ি নুর নাহারকে কোপাতে থাকে আলতাফ। এসময় নুর নাহার বেগমের মেয়ে ফাতেহা আজিম প্রিয়ন্তী (১৭) মায়ের চিৎকার শুনে তার মাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে গেলে আলতাফ হোসেন তাকেও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতে আহত প্রিয়ন্তী দৌড়ে নিচে নেমে গেলে তার পিছু পিছু আলতাফ হোসেনও দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। স্থানীয়রা প্রিয়ন্তীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর নুর নাহার বেগম রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলতাফ খুনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
আসামি আলতাফ হোসেন লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চর মেহের আব্দুল মুনাফের বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে।
(এইদিনএইসময়/১৪জুন/এলএ)