বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার তথা আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী আজ দুর্নীতিতে জড়িত। দুর্নীতি আজ মাকড়সার মত জড়িয়ে পড়েছে। দেশের টাকা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকার পাহাড় জমাচ্ছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন কে কোথায় থাকেন- তাও জাতি জানে।
বুধবার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশ নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে কাকরাইল ও ফকিরাপুল হয়ে আবার নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
রিজভী বলেন, সরকার আজ আইন-আদালতকে দিয়ে বেআইনি কাজ করাচ্ছে। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও মজনুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি ফৌজদারি অপরাধ। সরকার ভালোয় ভালোয় নেতাকর্মীদের মুক্তি না দিলে আমরা লাল দালান অভিমুখী যাত্রা শুরু করব।
তিনি বলেন, এ সরকার দেশ-বিদেশে আজ প্রত্যাখ্যাত। এরা ঘৃণিত। গণতন্ত্র বুঝে না, স্বাধীনতার অর্থ বুঝে না। শুধু বুঝে লুটপাট আর দুর্নীতি। এদের কাছে এ দেশ ও জনগণ নিরাপদ নয়। তাই দেশ ও জনগণকে রক্ষার্থে বিএনপি আন্দোলন করছে। এ আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন।
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, দেশে আইনের শাসন থাকলে বিএনপি নেতা মজনুকে জেলে থাকতে হতো না। হাইকোর্টের নির্দেশ মানা হলে মজনু গ্রেপ্তার করা হতো না। আজ দেশে আইনের শাসন নেই। চলছে একদলীয় শাসন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন- প্রয়োজনে বিএনপিকে বাদ দিয়েই নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগ ভালোভাবেই জানে বিএনপি নির্বাচনে এলে তাদের প্রার্থীদের জামানত থাকবে না। এত বড় গলায় কথা বলেন, সাহস থাকলে পুলিশ-র্যার ছাড়া মাঠে নামেন। নির্বাচনে আসেন। দেখেন জনগণ আওয়ামী লীগকে কি করে।
এসময় আরো বক্তব্য দেন মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, আনম সাইফুল ইসলাম, লিটন মাহমুদ, আরিফুর রহমান নাদিম, এমএ হান্নান, সুমন ভূঁইয়া, শামসুল আলম সবুজ প্রমুখ।
(এইদিনএইসময়/১৫জুন/এলএ)