ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মেদ ভুইয়া এ তথ্য জানান। এর আগে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) রাতে ঢাকার দারুস সালাম থানার দ্বীপনগর এবং আদাবর থানার সুনিবিড় আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় সোনা ও রূপার অলঙ্কার উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি হলেন- শরীয়তপুরের মাওসার গ্রামের জসিম ওরফে মুন্না (৩৯), চাঁদপুরের পুরানপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন (৩৫) ও মাদারীপুরের লক্ষ্মীপুর গ্রামের হাসমত ব্যাপারী (৪৩)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানান, ডাকাত হাসমত ব্যাপারী গত ১১ সেপ্টেম্বর নান্দাইলে শ্বশুরবাড়িতে বেড়ানোর অজুহাতে এসে রাতভর ডাকাতির পরিকল্পনা করে। পরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে নান্দাইল পৌর বাজারের রাতে নৈশপ্রহরীদের বেঁধে রফিকুল ইসলামের বিসমিল্লাহ জুয়েলার্স, আব্দুল মতিনের মুক্তা জুয়েলার্সে ডাকাতি করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। এ সময় বিসমিল্লাহ জুয়েলার্স থেকে ১৩ ভরি সোনা ও ৫০ ভরি রূপার অলঙ্কার, নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা এবং মুক্তা জুয়েলার্স থেকে চার ভরি সোনা ও ৪০ ভরি রূপা লুট করে ডাকাতরা। শেষে ককটেল বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায় তারা।
এদিকে এ ঘটনার মামলার পর অভিযান চালিয়ে ১০ অক্টোবর ডাকাত দলের চার সদস্য শামছুদ্দিন মোল্লা (৩৫), জসিম ব্যাপারী (৩৫), আসাদুল (২৫), শেখ সুজনকে (৩৩) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ঢাকার দারুস সালাম থানার দ্বীপনগর থেকে ডাকাত সর্দার হাসমত ও জসিম উদ্দিন মুন্না এবং আদাবর থানার সুনিবিড় আবাসিক এলাকা থেকে স্বর্ণের দোকানদার ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভূঞা বলেন, ডাকাত হাসমত ব্যাপারীর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় চারটি ডাকাতি, একটি বিস্ফোরক, একটি অস্ত্র আইন, একটি চুরসিহ ১১টি মামলা রয়েছে। পলাতক ডাকাত এবাদুলের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৩টি মামলা। তবে ডাকাতির বিষয়টি আড়াল রাখতে গ্রেপ্তারকৃতরা রাতে ডাকাতি করলেও দিনে রিকশা ও ইজিবাইক চালাতো। এভাবে তারা ডাকাতির নতুন স্থানও সন্ধান করতেন।