রংপুরে ৩৬ ঘণ্টার বাস ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন আজ। সড়কে যানবাহন না থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেক অসুস্থ রোগী পরিবহন না পেয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা হেঁটে আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তারা পরিবহন মালিকদের খামখেয়ালির শিকার।
অন্য আর কোনো দিন এমন হয়নি রংপুর বিভাগের জেলাগুলোয় মে, ছোট পরিবহন বন্ধে বাস মালিকরা ধর্মঘট ডেকেছে। এবার তারা বিএনপির সমাবেশ ঘিরে নতুন কৌশল নিয়েছে। কিন্তু এই কৌশল মানুষের বিরুদ্ধে। সাধারণ মানুষের কষ্ট আর আর্থিক ক্ষতি বাড়িয়ে দিয়েছে।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকালে নসিমন, করিমনসহ মহাসড়কে অনুমোদনহীন যান চলাচল বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট শুরু করে পরিবহন মালিক সমিতি। ধর্মঘটের কারণে রংপুর থেকে সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ধর্মঘট রংপুরে হলেও নিরাপত্তার অযুহাতে রাজশাহী-বগুড়াসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকেও ছাড়ছে না এই রুটের বাস। পরিবহন বন্ধ থাকায় সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। মালামাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও। বিকল্প উপায়ে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা, এতে গুণতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়াও।
পরিবহন মালিক নেতারা বলছেন, মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল ও প্রশাসনিক হয়রানি বন্ধের দাবিতে যৌথভাবে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা। এদিকে বিএনপির অভিযোগ সমাবেশে যেনো নেতাকর্মীরা উপস্থিত হতে না পারে, সেজন্যই ধর্মঘটের নাটক সাজানো হয়েছে।