আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় কর্মকাণ্ডে সশরীরে অংশগ্রহণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। দলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে তিনি এখন থেকেই নিয়মিত বিভিন্ন সমাবেশে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
এরই অংশ হিসেবে তিনি আজ যশোরে সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। দুপুরে তিনি বক্তব্য রাখবেন। বিমান যোগে তিনি ঢাকা থেকে রওয়ানা দিয়েছেন।
দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা তুলে ধরবেন। টানা তিন মেয়াদে সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে দেশে যে পরিমাণ উন্নয়ন সাধিত হয়েছে তা তুলে ধরবেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দলের সিনিয়র নেতারা অনেক কিছু তুলে ধরতে পারছেন না। দলীয় প্রধান তাদের কয়েকবার স্মরণও করিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কথা বলতে গিয়ে নেতাদের অনেকে খেই হারিয়ে ফেলেন।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি মানুষের ওপর কষ্টের বোঝা হিসেবে চেপে বসছে। কেন কোন পরিস্থিতিতে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাও স্পষ্ট করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া ডলার সংকট, ব্যবসা বাণিজ্যে মন্দাভাব কিভাবে কাটবে সে ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। সব দলের অংশগ্রহণে একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের তাগিদ দেশি বিদেশি নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের চাপ রয়েছে। ফলে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকেও নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে।
ফলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জনগণকে সম্পৃক্ত রাখার বিষয়টিও থাকছে এই প্রধানমন্ত্রীর এসব কর্মসূচিতে।