৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার

ডেসকো ও পাসপোর্ট অফিসে ছদ্মবেশে দুদক, ধরা পড়েছে দালাল

বিশেষ প্রতিনিধি
spot_img

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিমের কার্যক্রমে কিছুটা নততুনত্ব আনা হয়েছে। টিম সদস্যরা ক্লায়েন্ট সেজে বিভিন্ন সরকারি সেবা সংস্থায় অভিযান শুরু করেছে। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ডেসকো ও নারায়ণগঞ্জের পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছেন তারা।

দুদকের কাছে অভিযোগ ছিল মিরপুরে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ও নারায়ণগঞ্জের পাসপোর্ট অফিসে
প্রকাশ্যে বা গোপনে ঘুষ লেনদেন হয়। দালালরা নিয়ন্ত্রণ করে অনেক কাজ।
দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এ দুটি অভিযান চালায়।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক আরিফ সাদেক বাংলা ঢাকা টাইমসকে জানান, মিরপুরের ইব্রাহিমপুরে ডেসকো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ফাইল আটকে ঘুষ দাবি ও গ্রাহক হয়রানিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাই আমরা।এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি টিম এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। দুদক টিম প্রথমে বিভিন্ন শ্রেণীর সেবা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সেবা সম্পর্কে জানতে চায়। তারা ছদ্মবেশে ঘুরে ঘুরে সব কিছু পর্যবেক্ষণ করেন।

অভিযানের সময় দুদক টিম ডেসকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের কর্মকর্তা মো. আব্দুল মালেক ও নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেন। তিনি দুদক টিমকে জানান,আবাসিক এবং বাণিজ্যিক নতুন সংযোগের ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে অটোমেশন পদ্ধতি চালু আছে ডেসকোয়। গ্রাহক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ধরন ভেদে ৩ থেকে ১৮ কর্ম দিবস সময়ের মধ্যে পরিদর্শন রিপোর্ট অনুসারে সংযোগ প্রদান করা হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে প্রাথমিকভাবে আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলেও পরবর্তীতে কাগজপত্র জমা দেওয়া সাপেক্ষে সংযোগ প্রদান করা হয়।

নির্বাহী প্রকৌশলী আরও জানান, ‘ডেসকো একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মাঝেও তাদেরকে প্রতিনিয়ত গ্রাহক সেবা প্রদান করতে হয়। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি বিচ্যুতি হয়ে থাকতে পারে। তবে গ্রাহক পর্যায়ে কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তাদের নজরে আসলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা সমাধানের চেষ্টা করেন।’

অন্যদিকে,নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট সেবায় হয়রানির অভিযোগ পায় দুদক। এ ছাড়া ঘুষ সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে দুদক টিম প্রথমে ছদ্মবেশে পাসপোর্ট অফিসে আগত সেবা গ্রহীতাদের লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করে। গ্রাহকদের আবেদনে কোনও মার্ক বা বিশেষ চিহ্ন আছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে। দুদক টিম সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে জানতে পারে,পাসপোর্ট অফিসের পার্শ্ববর্তী দোকানে থাকা দালালদের মাধ্যমে বাড়তি টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট সেবা পাওয়া যায়। অভিযোগের বিষয়ে দুদক টিম পাসপোর্ট অফিসের উপপরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদয় করে। তিনি দালালদের বিরুদ্ধে তার শক্ত অবস্থান নেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেন

এদিকে অভিযানকালে দুদক টিম ওই অফিসের প্রতিটি কক্ষ পরিদর্শন করে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতিমুক্তভাবে জনগণকে সেবা প্রদানের পরামর্শ দেয়। এছাড়া সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ সম্পর্কে তাদের অবহিত করা হয়। এবং উক্ত বিষয়ে সর্তক করা হয়।

সর্বশেষ নিউজ