২২ মার্চ ২০২৫, শনিবার

কানাডা পাঠানোর নামে ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_img
spot_img

কানাডায় মাইগ্রেশনের মাধ্যমে স্থায়ী বসবাসের প্রলোভন দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। চক্রটি দেড় বছর ধরে এ ধরনের প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। নিজেরা বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করলেও না পারায় বিষয়গুলো নখদর্পণে থাকায় এক পর্যায়ে তারা প্রতারণায় নেমে পড়ে। বিদেশ পাঠানোর নামে ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পায় পুলিশের অ্যান্টি-টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাতে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিদেশ পাঠানোর নামে ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে পলাশ ঘোষ (২৬) এবং রনি কুমার ঘোষ (৩০)-কে গ্রেফতার করা হয়। তারা সম্পর্কে দূর সম্পর্কের চাচাতো ভাই। গ্রেফতার পলাশ রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বর্ষ এবং রনি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) থেকে মাস্টার্স শেষ করেছে।

এ ব্যাপারে অ্যান্টি-টেরোরিজম ইউনিটের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতারকৃতরা প্রথমে অনলাইনে মেয়েদের নাম ব্যবহার করে ফেক আইডি তৈরি করতো। পরে নিজেদের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছাত্রদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতো। যোগাযোগের এক পর্যায়ে চক্রের সদস্যরা কানাডাতে স্পন্সরশিপ পেয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিতো এবং স্পাউস ভিসায় তাদেরকে কানাডা নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নভাবে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো।  আসামিরা বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য কানাডার স্পন্সরশিপ পাওয়ার জাল কাগজপত্র তৈরি করে তা টার্গেট করা ব্যক্তিদের কাছে উপস্থাপন করতো।

জিজ্ঞাসাবাদে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা আরও জানতে পারে, এসব বিষয় বিশ্বাসযোগ্য করতে অ্যাপস ব্যবহার করে ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনের নাম ব্যবহার করে এবং মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ফোন করতো। কানাডায় ইমিগ্রেন্ট ভিসা করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতিজনের কাছ থেকে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা নিতো।

অ্যান্টি-টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) মিডিয়া শাখার সহকারী পুলিশ সুপার ওয়াহিদা পারভিন গণমাধ্যমকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া আইডি খুলে চক্রটি সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তাদের সঙ্গে ঢাকাস্থ কানাডিয়ান হাইকমিশনের কোনও যোগসূত্র নেই। কানাডিয়ান হাইকমিশনের নাম ব্যবহার করে এবং জাল কাগজপত্র তৈরি করে প্রতারণা করে আসছিল।

অ্যান্টি-টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) মিডিয়া শাখার পুলিশ সুপার আসলাম খান জানান, গ্রেফতার পলাশ এবং রনি দূর সম্পর্কের আত্মীয়। তারা মিলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে কানাডায় ভিসা দেওয়ার কথা বলে লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

(এইদিনএইসময়/৩০জুলাই/তাবী)

সর্বশেষ নিউজ