খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা গ্রামে ২৯ জুলাই হামলার শিকার হন ফুটবল খেলোয়াড় সাদিয়া নাসরিন, মঙ্গলী বাগচি, হাজেরা খাতুন ও জুঁই মন্ডল। হামলার পর থেকে ঘুমের মধ্যে বারবার আঁতকে উঠছেন তারা। পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।
মঙ্গলী বাগচি বলেন, ঘুমের ভেতর দেখি এসিড মারছে না হয় আবার মারতে আসছে। এগুলো দেখেই কেঁপে কেঁপে উঠছি। ঘুমাতে পারছি না ঠিক মত।
এদিকে সাদিয়া নাসরিন জানান, আমরা এ বিষয়ে জিডি করেছি। তবে তারা এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়নি। আমাদের নিরাপত্তার জন্যে গার্ড দিবে বলেছিলো সেটাও দেয়নি।
আগে প্রতিদিন তেঁতুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ফুটবল অনুশীলনে আসতো ৩০ কিশোরী। এর মধ্যে হামলার পর থেকে অনুশীলনে যাচ্ছেন না প্রায় অর্ধেক। আতঙ্কে মেস ছেড়ে একাডেমির এক কর্মকর্তার বাড়িতে উঠেছেন ৩ ফুটবলার।
এ ব্যাপারে তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ কুমার মন্ডল বলে, গ্রামের মানুষ সবাইকে অনেক সহায়তা করে। এ কারণেই মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। ছোট খাটো এমন কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটতে পারে।
মারধরের ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে ৩০ জুলাই মামলা করেন সাদিয়া। যদিও গ্রেপ্তারের পর মামলার আসামি নূর আলম এখন কারাগারে। তবে জামিন পেয়েছে নূর আলমের পরিবারের সদস্য অন্য ৩ আসামি।
বটিয়াঘাটা থানার ওসি মো. শওকত কবির ফোনে চ্যানেল 24-কে বলেন, সাদিয়া এবং তার বন্ধুদের নিরাপত্তা এবং সেখানে আরও যারা খেলছেন তাদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশের যে ভূমিকা তাতে আমাদের কোন কার্পণ্য থাকবে না। আমরা চাই এই ঘটনার একটু সুষ্ঠু তদন্ত এবং সুষ্ঠু বিচার হোক।
২৭ জুলাই সাদিয়ার হাফ প্যান্ট পরে ফুটবল খেলার ছবি তুলে তার মাকে দেখিয়ে অপমান করেন নূর আলমের মেয়ে নুপুর। কারণ জানতে তাদের বাড়িতে গেলে, ২৯ জুলাই মারধরের শিকার হন সাদিয়াসহ ৪ জন।
(এইদিনএইসময়/৩আগস্ট/তাবী)