বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সরকার নির্যাতন-নিপীড়ন ও হয়রানি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৩আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে সাজার প্রতিবাদে শুক্রবার সারাদেশে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল।
তারেক-জোবায়দার রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই রায় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই রায় দিয়ে চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দেওয়া যাবে না।’
বিচার ব্যবস্থাকে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে সরকার-এমন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে নির্যাতন-নিপীড়ন ও হয়রানি করা হচ্ছে। জাতিকে চিরস্থায়ীভাবে সহিংসতা ও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’
‘অস্তিত্ব রক্ষার যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, ঠিক সেই সময় এই আন্দোলনে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তার নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এই রায় দেওয়া হয়েছে’ মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এভাবে আন্দোলন কখনই স্তব্ধ করা যাবে না, বন্ধ করা যাবে না। দাবি আদায় না করে জনগণ ঘরে ফিরে যাবে না।’
‘শুধু তারেক রহমান নয়, যে জোবায়দা রহমান রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় তাকেও সাজা দেওয়া হয়েছে।
তারেক রহমানকে যে ধরনের মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে একই ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের খালাস দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা ছিল। এই আদালতকে ব্যবহার করে সব মামলা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। অথচ বিএনপি নেতাদের ২৫ বছর আগের মামলায় ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদও জানান মির্জা ফখরুল।
(এইদিনএইসময়/৩আগস্ট/তাবী)