২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার

চাঁদপুরে অপহৃত মাদ্রাসাছাত্র উদ্ধার

চাঁদপুর প্রতিনিধি
spot_img
spot_img

চাঁদপুরে অপহরণের শিকার মাদ্রাসাছাত্র নাঈম হোসেন (১৫)কে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নাঈম সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন এলাকার তাকওয়া দারুল আকরাম মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে, গত মঙ্গলবার (১ আগস্ট) কোন এক সময়ে।

বর্তমানে বৃহস্পতিবার নাঈম হোসেন তার বাবা মায়ের কাছে ফিরে এসে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বাবা-মায়ের কাছে রয়েছে। সে বলেছে, সে আর বাবা-মা’কে ছেড়ে কোথাও যাবে না। সে অপহরণকারী চক্রের হাতে নির্যাতনে লৌমহর্ষক ও ভয়াবহ অবস্থার কথা বর্ননা দিয়েছে পরিবার ও এলাকাবাসীর কাছে। এ সময় এ সব কথা বলতে গিয়ে নিজের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলে।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি শেখ মো. মুহসীন আলম মুক্তিপণ চাওয়া বিকাশ নম্বর সূত্র ধরে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাঈমকে উদ্ধার করে।

গত সোমবার (৩১ জুলাই) বিকেলে নাঈম সহপাঠী আবু সাঈদের সাথে মাদ্রাসার কাউকে না বলে চট্টগ্রামে ভ্রমণের উদ্দেশে বের হয়। পরদিন একটি নাম্বার থেকে ফোন আসে নাঈমের বাবার কাছে আপনার ছেলে আমাদের কাছে আছে। তাকে কাজ করতে ৭ মাসের চুক্তি করে ২ মাসের বেতন অগ্রিম নিয়ে তার বড় ভাই আমাদের কাছে দিয়েছে। যদি তাকে ফিরে পেতে চান, তাহলে এ বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করুন।

এ অবস্থায় নাঈমকে পেতে বাবা নাছির গাজী দিশেহারা হয়ে ওই বিকাশ নাম্বারে ৯ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। টাকা দেওয়ার পরও অপহরণকারীদের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে নাঈমের বাবা নাছির মঙ্গলবার চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ছেলেকে ফিরে পেতে একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের পর সদর মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা অভিযানে নেমে পড়েন। পরে বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারীর একজনের বাড়ি ভোলা জেলায় স্থানীয় প্রশাসন দিয়ে অভিযান চালান।

জাতীয় পরিচয়পত্র সূত্রে অপহরকারীর বাড়ির ঠিকানা ভোলা থাকলেও সে তার পরিবার নিয়ে থাকে নোয়াখালী। পুলিশের এই তোড়জোর কার্যক্রমের খবর চলে যায় অপহরণকারী চক্রের কাছে। তারা অবশেষে অপহৃত নাঈমকে বুধবার চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরে ট্রেনে উঠিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে নাঈমের বাবা নাছির গাজী জানান, আমার ছেলেকে পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। পুলিশকে অনেক ধন্যবাদ। তারা চেষ্টা না করলে হয়তো আমি আমার ছেলেকে পেতাম না।

এ বিষয়ে ওসি শেখ মো. মুহসীন আলম জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাজ শুরু করি। আজ চট্টগামে আমাদের অভিযানে যাওয়ার কথা ছিল। অপহরকারী চক্র হয়তো তাদের গ্রামের বাড়িতে এ অভিযানের খবর টের পেয়ে নাঈমকে নিজেদের কাছে না রেখে মুক্ত হতে চাঁদপুরের ট্রেনে উঠিয়ে দিয়ে নিজেরা কেটে পড়ল।

(এইদিনএইসময়/০৪আগস্ট/এলএ)

সর্বশেষ নিউজ