বাজারে সস্তা বা গরীবের মাছ হিসেবে পরিচিত পাঙ্গাস আর তেলাপিয়াও এখন দামি মাছ হয়ে উঠেছে। নিত্যপণ্যের অস্থির বাজারে কখন যে কোন জিনিসের দাম সামর্থ্যের নাগালের বাইরে বেরিাইরে বেরিয়ে যায় তা বোঝা মুশকিল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। তেলাপিয়া ও পাঙাশের দাম বেড়ে এখন বেড়ে ২০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাঙাশের কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, মাঝারি আকারের তেলাপিয়ার কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাস দেড়েক আগেও এ দুই জাতের মাছের দাম ছিল যথাক্রমে ১৮০ থেকে ২০০ এবং ২২০ থেকে ২২০ টাকা। এ ছাড়া দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে সিলভার কার্প ২০০ থেকে ২৬০ টাকা এবং নলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা দরে।
গত এক মাসের ব্যবধানে মাঝারি আকারের রুই-কাতলা কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৩৪০ থেকে ৪০০ টাকায়। বড় আকারের রুই-কাতলা ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাবদা, ট্যাংরা জাতীয় মাছের দামও বাড়তি। পাবদার কেজি মানভেদে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং ট্যাংরা মাছের কেজি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এদিকে সপ্তাহ দুয়েক আগেও রাজধানীর বাজারগুলোয় যে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা; এখন তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। একইভাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায়। ডিমের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা দরে।
ভারত চাল রপ্তানি বন্ধ করলেও দেশের বাজারে খুব বেশি প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। মোটা চালের দাম দুই সপ্তাহ আগেই কেজিতে ২ টাকার মতো বেড়ে ৫০ থেকে ৫২ টাকায় উঠেছিল। সে দাম এখনও বহাল। এছাড়া মাঝারি আকারের চাল ৫৪ থেকে ৫৮ এবং চিকন চালের কেজি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তুলনামূলক স্থির আছে সবজির বাজার। বেশিরভাগ সবজি কেনা যাচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। তবে করলা ও গাজরসহ কয়েকটি সবজির দাম দেখা গেছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা।
(এইদিনএইসময়/৪আগস্ট/তাবী)