নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার পভাবে জোয়ারের পানিতে গত তিনদিন ধরে দিনে দুইবার দুই থেকে তিন ফুট পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবন।
এমন অবস্থায় অনেকটা ঝুঁকিতে পড়েছে সুন্দরবনের বণ্যপ্রাণী। তবে বনবিভাগের দাবি, সুন্দরবনের সব ধরনের বণ্যপ্রাণী নিরাপদে রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার মো. আজাদ কবির বলেন, ‘গত তিনদিন ধরে নিম্নচাপ ও জোয়ারের পানিতে দিনে দুইবার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে সুন্দরবনের করমজল বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র। বণ্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রর সেডে থাকা হরিণ, কুমির ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির বাটাগুর বাচকা কচ্ছপগুলো নিরাপদ রয়েছে।
‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় সুন্দরবনের নিচু এলাকায় থাকা হরিণসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণীরা গাছসহ বনের উঁচু স্থানগুলোতে আশ্রয় নেয়। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে সুন্দরবনের বণ্যপ্রাণীদের রক্ষায় ১২টি মাটির উঁচু টিলা নিমাণ করা হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে মোংলা আবহওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন আর রশিদ জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর ফলে বাগেরহাট জেলা জুড়ে থেমে থেমে ভারি বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। যেটি আরও তিন থেকে চারদিন অভ্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, এ কারণে মোংলা বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় বাগেরহাট জেলায় ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
(এইদিনএইসময়/৪আগস্ট/তাবী)