বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি একা নয়, বাম জোটকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন ও সংগ্রাম করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, পরিষ্কার ভাষায় সরকারকে বলি, যদি তুমি দাবি না মানো, আজকের এই সমাবেশ সবে তো শুরু। এই সমাবেশ থেকে সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিচ্ছি। সেপ্টেম্বরের পরে সরকার বিদায়ের আন্দোলন করা হবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
‘সংসদ ভেঙে দেওয়া, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন, দুর্নীতি-লুটপাট-অর্থপাচার-বাজার সিন্ডিকেটের হোতাদের গ্রেপ্তার ও বিচার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য গণদাবি’তে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সিপিবির সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স বলেন, আমরা কমিউনিস্ট পার্টি ১১ আগস্ট সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিচ্ছি। আমাদের এই সংগ্রাম চলবে। আজ বাংলাদেশে কমপক্ষে ১০০টি এলাকায় আমাদের সমাবেশ হচ্ছে। আমরা একা নই। বাম জোট, তাদের নিয়েও সংগ্রাম করছি। আমরা ১০ আগস্ট যশোরে বড় সমাবেশ করব। আগস্ট মাসব্যাপী বাম জোটের বিভাগীয় বড় সমাবেশ হবে। বড় বড় শহরে জনসমাবেশ হবে। আর সেপ্টেম্বর মাসে কমিউনিস্ট পার্টি ও বাম জোটের উদ্যোগে আমাদের ভোটের অধিকারের দাবিতে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে রেশন ব্যবস্থা চালু ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালুর দাবিতে, দুর্নীতি, ঘুষ, লুটপাট, অবৈধভাবে অর্থপাচার বন্ধের দাবিতে সারাদেশে আন্দোলন চলবে। এরপর দেশের আপামর জনগণকে ঢাকায় সমাবেশে আসার আহ্বান জানাব। ঢাকার সমাবেশ থেকে এই সরকারকে বিদায় করার নতুন পর্বের আন্দোলন আমরা সূচনা করব।
সমাবেশে আরও বক্তব্যদেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি শাহ আলম, সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামসেদ আনোয়ার তপন ও সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার মানুষের মুখের অন্ন কেড়ে নিয়েছে। প্রতিবাদ করার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। দেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে মানুষের কাঁধে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন চাপিয়েছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে যারা দেশের শাসন প্রক্রিয়ায় ন্যূনতম গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বিনাশ করেছে, তারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে একটি তথাকথিত সংবিধান সম্মত স্বৈরশাসন কায়েম করেছে। ক্ষমতাসীন সরকার আজীবন ক্ষমতায় থাকতে আগামী নির্বাচন অতীতের মতো ভোটারবিহীন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন, একতরফা উপায়ে করতে চায়।
(এইদিনএইসময়/০৪আগস্ট/এলএ)