ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের নাম- দীপ্তি রানী হাওলাদার (১৯)। চার মাস আগে মোবাইলে পরিচয়ের পর প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) দক্ষিণ আইচা থানার অধ্যক্ষ নজরুলনগর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর-হারিছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দীপ্তি নজরুলনগর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রণজিৎ মিস্ত্রির ছেলে রিপন চন্দ্র মিস্ত্রির স্ত্রী। তিনি বরিশাল জেলার দুধল ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুন্দরকাটি গ্রামের সুমির হাওলাদারের মেয়ে।
এ ঘটনায় নিহতের শাশুড়ি তীর্থ রানী জানান, চার মাস আগে আমার ছেলে রিপনের সঙ্গে দীপ্তির মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পর বিয়ে হয়। তখন থেকে তাদের সাংসারিক জীবন ভালোই চলছিল। হঠাৎ শুক্রবার সকালে আমার ছেলের সঙ্গে দীপ্তির ঝগড়া হয়।
তার দাবি, বাড়িতে আমার অনুপস্থিতির সুযোগে বিকালে আমার বসতঘরের বারান্দার আড়কাঠের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করে। আমি বাড়ি ফিরে তার লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে থাকলে আমার ঘরের পার্শ্ববর্তী রেখা রানী এগিয়ে আসে। পরে দীপ্তির গলা থেকে ওড়না খুলে তাকে উদ্ধার করে থানাপুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
তবে এ ব্যাপারে নিহতের স্বামী রিপন চন্দ্র মিস্ত্রি ঘটনার দিন ঝগড়ার বিষয় অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
ঘটনাটিতে দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
(এইদিনএইসময়/৫আগস্ট/তাবী)