২২ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার

ক্রীড়াঙ্গন থেকে শুরু করে সবকিছুতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: প্রধানমন্ত্রী  

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_img
spot_img

বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গন থেকে শুরু করে সবকিছুতে এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে খেলাধুলাসহ সকল উন্নয়ন ও সংগ্রামে আওয়ামী লীগ ভূমিকা রেখেছে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে সারাটি জীবন নানা ত্যাগ-তিতিক্ষা-সংগ্রাম করেছেন। তিনি ১৯৩৬ সালে স্বদেশি আন্দোলনে যোগ দেন। সাতচল্লিশে দেশ ভাগের পর বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলন, চুয়ান্নের নির্বাচন, ছেষট্টির ছয় দফা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মাধ্যমে একটি জাতিকে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রস্তুত করেছেন।’

‘পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে মুক্তিপাগল জনতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণের প্রেক্ষিতে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। আমরা সেই বিজয়ী জাতি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছাত্রজীবন থেকেই পড়ালেখা ও রাজনীতির পাশাপাশি খেলাধুলা পছন্দ করতেন। একসময় তাঁর বাবা শেখ লুৎফর রহমান ছিলেন অফিসার্স ক্লাবের সেক্রেটারি এবং তিনি ছিলেন মিশন স্কুলের ক্যাপ্টেন। ছোটবেলায় আমরা শুনেছি, আমার দাদা এবং বাবার টিমে প্রতিযোগিতা হতো। বাবা ভালো খেলোয়াড়দের বেতন ফ্রি করে দিতেন। তিনি একসময় ঢাকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়েও খেলছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ কামাল আমাদের পরিবারের সকলের মতো সাদামাটাভাবে চলাফেরা করত; কিন্তু তার ব্যক্তিত্ব ছিল অসাধারণ। সে অত্যন্ত বিনয়ী, নির্লোভ, নিরহংকার ও সদালাপী ছিল। প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির সন্তান হিসেবে সে কখনোই পরিচয় দিত না।’

‘শেখ কামাল জাতির পিতার সুযোগ্য সন্তান হিসেবে নিজেকে তৈরি করেছিল। কামাল বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ছিল। সে একাধারে দেশের সেরা ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়াবিদ, অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র এবং শিল্প-সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ছিল। স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করেছিল, সেখানে ধ্রুবসংগীতের পাশাপাশি আধুনিক পশ্চিমা ধারার পপসংগীতও চালু করেছিল কামাল। বিখ্যাত নাট্যদল ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিল।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগস্ট মাস আমাদের শোকের মাস। এ মাসেই কামালের জন্মদিন। কামাল আমার ছোট, আমরা পিঠাপিঠি দুই ভাই-বোন ছিলাম। শুধু তাই নয় আমার খেলার সাথীও ছিল। আমরা আন্দোলন-সংগ্রামেও একসঙ্গে ছিলাম। আমার, আমাদের পরিবার এবং সমগ্র জাতির জন্য আগস্ট অত্যন্ত কষ্টের, অত্যন্ত বেদনার। শেখ কামাল বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনে যে অবদান রেখেছে সেটা চিরদিন মানুষ স্মরণ করবে।

(এইদিনএইসময়/৫আগস্ট/তাবী)

সর্বশেষ নিউজ