ত্রিশ লাখ মানুষ রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ উপহার দিয়ে গেছেন। তাদের রক্তের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বলেন, যেভাবেই হোক রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে হবে। বিচার বিভাগকে গতিশীল করতে হবে। মানুষ যদি বছরের পর বছর আদালতের বারান্দায় ঘোরে, যদি ন্যায়বিচার না পায়- তা হলে ওই ব্যক্তি যদি বলে এ দেশে বিচার-আচার নাই, সেটা অন্যায় হবে।
শনিবার সকালে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মামলার জট প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, যশোর আদালতে ২০ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে এমন মামলা পেন্ডিং আছে। এটার মানে আমরা গত ২০ বছরে ওই লোকগুলোকে বিচার দিতে পারিনি। এর জন্য দায়ী কে। আমি মনে করি, বিচারক ও আইনজীবী দুজনই দায়ী। আর কিছুটা দায়ী হতে পারে প্রসেস। যে প্রসেসে বিচার হয়।
তিনি বলেন, সেবাপ্রার্থীরা আমাদের বাবা-চাচা অথবা খালু। তাদের কষ্টের কথা ভেবে শুরু থেকে যেভাবে সহজেই মামলা ডিসপোজাল হয়, সেই চেষ্টা করুন। আমরা আদালতের বারান্দা থেকে যদি একদিন আগেও কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারি, তবে তিনি স্বস্তি পাবেন। এ জন্য আপনাদের অনুরোধ করি, আসুন আমরা চেষ্টা করে দেখি। এটা কারও একার পক্ষে সম্ভব নয়। একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু মর্তুজা ছোটর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম, স্পেশাল জেলা জজ মো. শামসুল হক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম কবীর, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিদা জাহাঙ্গীর, জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার।
এর আগে সকালে জেলা জজ আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এরপর তিনি আদালত চত্বর একটি জলপাই গাছের চারা রোপণ করেন।
(এইদিনএইসময়/০৫আগস্ট/এলএ)