বিএনপির এমপিদের ছেড়ে দেওয়া ছয় সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে ভোটের হার ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সাত শতাধিক কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হয়। এ নির্বাচনে কোথাও সিসি ক্যামেরা ছিল না। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভোটকেন্দ্রের বাইরে বোমাবাজি ছাড়া সারাদিন আলোচনার মূল বিষয় ছিল ভোটার স্বল্পতা।
সিইসি বলেন, ব্যাপক অনিয়ম, ভোট ডাকাতি হয়েছে- এমন কোনো তথ্য পাইনি। আমরা বলব, সাধারণভাবে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়েছে ভোট। উপস্থিতির হার তুলনামূলকভাবে কম ছিল। আনুমানিক ১৫/২০/২৫/৩০ শতাংশ হতে পারে। এটা নিশ্চিত করে এখনও বলা যাবে না, অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, অনিয়ম বা কারচুপির উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিষয়ে নজর রেখেছি, সেখানেও বিরূপ কোনো তথ্য পেরিবেশিত হতে দেখিনি। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে তথ্য পেয়েছি, দুয়েকটি জায়গায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে; একটি ককটেল তাজা পাওয়া গেছে। দুয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে যেটা কেন্দ্রের বাইরে।
সিইসি বলেন, আমরা যে তথ্য পেয়েছি, সিসি ক্যামেরা ছাড়াই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটগ্রহণ বলা চলে সাধারণভাবে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে হয়েছে। ইভিমের ভোট, দু’চার ঘণ্টার মাধ্যমে ফলাফল রিটার্নিং কর্মকর্তার কাযালয়ে ঘোষণা শুরু হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, দুয়েকটি কেন্দ্রে এমন তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। একটি কেন্দ্রে এক ভদ্রমহিলা তার দুটো বাচ্চাকে নিয়ে ঢুকেছে, আরেকটি জায়গায় এক ভদ্রমহিলা অসুস্থ ভোটারকে সহায়তা করতে ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন।
তিনি বলেন, এগুলো হতে পারে। আমরা এগুলোকে খুব গুরুতর বা ব্যাপক (অনিয়ম) মনে করছি না, যেটা ভোটের ফলাফলকে পাল্টে দিতে পারে। ওই ধরনের ঘটনা মনে হয়নি। কিন্তু মুহূর্তে মুহূর্তে গণমাধ্যমে এখান থেকে দেখছিলাম- এমন কিছু দেখিনি যে ভোটকেন্দ্রে ভোট ডাকাতি হচ্ছে, ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। সেদিক থেকে আমরা বলব সাধারণভাবে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হয়েছে ভোট।
আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ও প্রশাসনের সহায়তায় সন্তোষ প্রকাশ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সফল ও অর্থবহ করার বিষয়ে কমিশনের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গোলাপবাগের সমাবেশে বিএনপির সংসদ সদস্যরা একযোগে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পরদিন তারা সংসদ ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর দপ্তরে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।