বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ৬টি আসনে উপনির্বাচনে গড়ে ভোট পড়েছে ১৫-২৫ শতাংশ। এমনটিই ধারণা করছেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে ভোটের মাঠ নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ নেই, এটা মানতে রাজি নন তিনি।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে ৬ আসনের নির্বাচন রবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
৬ আসনের উপনির্বানে ভোটে অনিয়ম বা কারচুপির উল্লেখযোগ্য কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেন সিইসি।
তিনি বলেন, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে এখন পর্যন্ত যে সহায়তা পেয়েছে, তাতে নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট।
সিইসি বলেন, তারা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য নিয়েছেন। টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে নজর রেখেছেন। অনিয়মের উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কয়েকটি জায়গায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। দুই-একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, উপস্থিতির হার তুলনামূলক কম ছিল। আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ বা ২৫ শতাংশ হতে পারে। তবে নিশ্চিত করে এখনও বলা যাবে না। এজন্য আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ৬টি আসনে ৪০ জন প্রার্থী ছিল। ভোটকেন্দ্র ৮৬৭ ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হয়েছে। এই আসনগুলো ভোটার সংখ্যা ছিল ২২ লাখ ৫৪ হাজার ২১৭ জন।
উল্লেখ্য, গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির আন্দোলনের অংশ হিসেবে দলটির সাতজন সংসদ সদস্য দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদত্যাগ করেন। এর অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন শূন্য ঘোষণা করার পর সেখানে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে প্রার্থী না দিলেও সেখানে বিএনপি থেকে পদত্যাগী এমপি উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে সমর্থন দেয় আওয়ামী লীগ।