হিরো আলমকে কে না চেনে! হিন্দি বিভিন্ন গানের সাথে নেচে এবং বেসুরো গলায় গান করেই তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। নিজের লুকস ও অভিনয় দক্ষতার জন্য কিছুটা সমালোচনা এবং ট্রলের জন্যই বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন।
সমালোচনা ও ট্রলের বাইরেও ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে পুনরায় আলোচনায় আসেন হিরো আলম। যদিও সে বছর মাত্র ৬৩৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।
বিএনপির ছেড়ে দেওয়া বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে একতারা প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন তিনি। এই আসনে তিনি ১৯ হাজার ৫ শ ৭১ ভোট পেয়েছেন। যদিও ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে মশাল প্রতীকের কাছে হেরেছেন। তবে বগুড়া-৬ আসনে তিনি ৫ হাজার ২৭৪ ভোট পেয়েছেন। তবে জামানত হারাতে যাচ্ছেন বগুড়া-৬ আসনে।
সন্ধ্যা থেকে চাউর হয়েছিল হিরো আলমের নির্বাচনে জয়লাভের সম্ভাবনার কথা। কিন্তু জয়ের আশা জাগিয়ে হেরে গেছেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
নির্বাচনী প্রচারণার সময় হিরো আলম পিকআপ ভ্যান ও মাইক নিয়ে এলাকার প্রতিটি ভোটারের দোরগোড়ায় গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। ভোটারদের মতো তাকেও একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে বিজয়ী করার অনুরোধ করেছেন তিনি।
সূত্র জানায়, নির্বাচনের দিন দুপুরের পর অনেক প্রার্থীর তৎপরতা চোখে পড়েনি। কিন্তু হিরো আলম শেষ পর্যন্ত মাঠে ছিলেন এবং জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন।
সন্ধ্যায় নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর তিনি ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, এ আসনে ভোট চুরি হয়নি, লজ্জাজনকভাবে ফলাফল চুরি হয়েছে। ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে গিয়ে আমাকে বিপুল ভোট দিয়েছেন। কিন্তু তথাকথিত শিক্ষিত কর্মকর্তারা আমার মতো অশিক্ষিত মূর্খ ছেলেকে ‘স্যার’ ডাকতে হবে, এতে তাঁদের মানসম্মান থাকবে না, শুধু এই কারণে মুহূর্তের মধ্যে ফলাফল পাল্টে দিয়েছেন। কেন্দ্রের ফলাফল নির্বাচনী এজেন্টদের কাছে সরবরাহ করার কথা থাকলেও বেশ কিছু কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের কাছে ফলাফল সরবরাহ করা হয়নি।
বুধবার রাত ১০টায় বগুড়া সদর উপজেলার নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সমল্লেনে ভোট সুষ্ঠু হয়নি বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমার সাথে অন্যায় করা হয়েছে। শিগগিরিই ফল বাতিল চেয়ে আদালতে রিট করা হবে।