জাতীয় ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল দীর্ঘদিন যাবত অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে। এই অকার্যকর সস্থাকে দ্রুত পুনর্গঠন ও সচল করে ক্যান্সার বিষয়ক যে কোন প্রকল্প এবং পরিকল্পনা এই পরিষদের মাধ্যমে একনেকে পাঠাতে হবে।
‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা এই দাবি জানান। শনিবার প্রেসক্লাবের তফাজ্জ্বল হোসেন মানিক মিয়া হলে এঈ গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্টের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ ক্যান্সার ও তামাকবিরোধী জোটের সহযোগিতায় জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার রোগতত্ত্ব বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য) মজিবুল হক, বারডেমের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ শুভাগত চৌধুরী, ওজিএসবি’র সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম, গাইনি অনকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ’র সম্পাদক অধ্যাপক সাবেরা খাতুন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, জন হপকিনস ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষক ডাঃ হালিদা হানুম আখতার, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ আবু জামিল ফয়সাল, এনআইসিআরএইচ’র সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশিকা’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কবি রোকেয়া ইসলাম প্রমুখ।
আলোচনায় সরকারের বিবেচনার জন্য অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। এর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কাউন্সিল দীর্ঘদিন যাবত অকার্যকর। দ্রুত পুনর্গঠন ও সচল করে ক্যান্সার বিষয়ক যে কোন প্রকল্প ও পরিকল্পনা এই পরিষদের মাধ্যমে একনেকে পাঠাতে হবে। অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের পাশাপাশি জাতীয় ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী আলাদাভাবে পরিচালনা করতে হবে। জাতীয় ক্যান্সার নিবন্ধন কর্মসূচীর আওতায় হাসপাতাল ও জনগোষ্ঠীভিত্তিক নিবন্ধন চালু ও সম্প্রসারণ করা। জাতীয় ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচী চালু করতে হবে চলমান অসম্পূর্ণ, ত্রুটিপূর্ন ও অসংগঠিত পদ্ধতির পরিবর্তে সমাজভিত্তিক সংগঠিত পদ্ধতিতে। এ ছাড়া হেপাটাইটিস ও এইচপিভি টিকাসহ ক্যান্সার প্রতিরোধে ব্যাপক সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে সরকারের সাথে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করতে হবে।