ব্যবসায়ীরা মাঠ পর্যায়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। একইসঙ্গে, ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তাদের অবৈধ লেনদেনে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে।
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সেমিনারে মাঠ পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এনবিআর চেয়ারম্যানের সামনেই এসব বিষয় তুলে ধরেন ব্যবসায়ী নেতারা।
অন্যদিকে, এনবিআরের পক্ষ থেকে প্রত্যাশিত ট্যাক্স আদায়ে সক্ষমতার অভাবের পাশাপাশি সমন্বয়ে ঘাটতির বিষয়টিও উঠে এসেছে।
তাদের সেই বক্তব্য নিয়ে ব্যবসায়ী মহলে চলছে নানা আলোচনা।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু ড. বলেন, “খাতাপত্র আটক, হয়রানি করা, দাবিনামা কিংবা নোটিশ – আতঙ্কমূলক পরিস্থিতির খবর পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবসায়ের জন্য সহায়ক নয়।”
অবৈধ লেনদেনের ফলে বিপুল অঙ্কের অর্থ সরকারের কোষাগারে না আসার তথ্যও তুলে ধরে তিনি বলেন, “অবশ্য আমরা ইচ্ছাকৃত ফাঁকিবাজের পক্ষে নই।”
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা জানতে পারি, একটি জেলার ব্যবসায়ীকে চার কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু কর্মকর্তার সঙ্গে লেনদেন করে পুরো মামলা মিটমাট হয়ে যায়। এখানে অফিসার আর ব্যবসায়ী লাভবান হলেন, আর সরকার কোনো টাকা পেল না।”
এ ধরনের অনিয়ম রোধে তিনি এনবিআরের ভ্যাট গোয়েন্দা শাখাকে সক্রিয় করার তাগিদ দেন।
আগারগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক এনবিআরের নিজস্ব ভবন উদ্বোধন এবং রেভিনিউ কনফারেন্স উপলক্ষ্যে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ‘জাতীয় উন্নয়নে ভ্যাটের ভূমিকা: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে এনবিআরের কর্মকর্তা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ী প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ফরেন ইনভেটরস চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বর্ধিত থাকার পর কমে আসলে আমদানির ক্ষেত্রে এনবিআর কর্তৃক শুল্কায়নে তা বিবেচনায় রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “এখন পণ্যের দাম কমে আসছে আন্তর্জাতিক বাজারে। ফলে সর্বশেষ মূল্য (যখন মূল্য বেশি ছিল) দেখতে গেলে ভোক্তার উপর এর প্রভাব পড়বে।”
এছাড়া, এনবিআর কর্তৃক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইলেক্ট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) পদ্ধতিকে কার্যকর করতে ক্যাশলেস (নগদ লেনদেন বাদ দেওয়া) হওয়ার তাগিদ দেন।