তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত দক্ষিণাঞ্চলের আজাজ শহরে নিখোঁজ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মো. গোলাম সাইদ রিংকুকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
ভূমিকম্পে একজন বাংলাদেশীর খোঁজ মিলছিলো না। রিংকু বগুড়ার বাসিন্দা। তিনি তুরস্কের আজাজ শহরে বসবাস করেন।
মঙ্গলবার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত একটি ভবনের ভেতর থেকে তাকে উদ্ধার করেন উদ্ধারকর্মীরা। ইস্তাম্বুলে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নুরে আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় রিংকুকে উদ্ধার করার পর দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশের খাহরামানমারাসের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। তুরস্কে বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে তুরস্কের এই বিপর্যয়ে সাহায্যের জন্য উদ্ধারকারী ও জরুরি চিকিৎসাসেবা দল পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাবলিক ডিপ্লোমেসি উইংয়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অপর একটি সূত্রে জানা গেছে, ১০ সদস্যের উদ্ধারকারী দলে এতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের পাঁচজন করে সদস্য থাকবেন। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিমানে (সি-১৩০) দলটি বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তুরস্ক যেতে পারে।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটের দিকে তুরস্কের গাজিয়ানটেপ শহরের কাছে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরতায় ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের নুরদাগি থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বদিকে ছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮।
ভূমিকম্পে ইতোমধ্যে দুই দেশে নিহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা আট গুণ বাড়তে পারে সতর্ক করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।