পুতুল সাজিয়া সুলতানা। সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে সবার কাছে পরিচিত নাম পুতুল। দেখতেও পুতুলের মতো। কথা বলার স্টাইলও ব্যতিক্রম। গানে বেশ অনেকটা পথ এগিয়েছেন দরদী কন্ঠ দিয়ে গেয়ে। নিজে লিখেন,এমনকি সুর সঙ্গীতও করেন।
এই শিল্পীর যে আরেকটা বড় গুণ আছে কে জানত। তিনি একজন সৃজনশীল লেখিকাও। গান কবিতার পাশাপাশি গল্প উপন্যাস লেখায় তিনি বেশ মনোযোগী। পরিশ্রমী। উদ্যমী। সাহসী।পুতুলের এবারের উপন্যাসের নামটাও ব্যতিক্রম।
“প্রেমতান্ত্রিক পৃথিবীর স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত হওয়ার আগে”। একটু ব্যতিক্রম নাম। নাম ধরেই বলা যায়, ভীষণ রোমান্টিক একটি উপন্যাস। তার কয়েটছত্র লেখার দিকে নজর দিলেই তার প্রমাণ মিলবে।
যেমন লেখক একজায়গায় লিখেছেন, “প্রেমে দায়বদ্ধতা থাকে। কিন্তু প্রেম প্রেম অনুভূতিটায় কোনো দায়বদ্ধতা থাকে না। দুজনে দুজনের কাছে সরাসরি কিছু দাবি করতে পারে না। প্রত্যাশা রাখে না।”
উপন্যাসের আরেকজায়গায় লিখেছেন, “পুরুষ হাঁপিয়ে ওঠে। মুক্তি চায়। নারী আঁকড়ে থাকে। আষ্টেপৃষ্ঠে। জড়িয়ে থাকতে চায়…”
এবারের বই মেলায় এসেছে পুতুলের “প্রেমতান্ত্রিক পৃথিবীর স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত হওয়ার আগে”।
বেশ সাড়াও মিলছে। তার মনের মানুষ রেজাকে বই গিফট করেন, সাথে অটোগ্রাফ। দীর্ঘ সময় ধরে যখন লিখছিলেন,রেজা বলে ওঠে
“আরেকটা বই লিখছিস নাকি?’, আমার দীর্ঘ অটোগ্রাফের?”
পুতুল তার লেখক অনুভূতির এক জায়গায় বলেছেন,”বাবা প্রথম হলেন এবারো। বইমেলায় আসা আমার বইগুলোর প্রথম ক্রেতা হওয়া রীতিতে পরিণত করেছেন বাবা। এতে তার বিপুল গর্ব টের পাই। ঐ মুহূর্তটুকুর জন্য আমি প্রতীক্ষা করি সারা বছর।”
উপন্যাস ‘প্রেমতান্ত্রিক পৃথিবীর স্বপ্ন থেকে বিচ্যুত হওয়ার আগে’ তাম্রলিপি প্রকাশনী থেকে বের হয়েছে। প্যাভিলিয়ন ২১। একুশে বইমেলা
দৈনিক ‘এইদিনএইসময়’ (www.eidineisomoy.co) এর পক্ষ থেকে পুতুলের জন্য অফুরান শুভেচ্ছা। শুভ কামনা।