২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শুক্রবার
--বিজ্ঞাপন-- Bangla Cars

ইরফান সেলিমের মাথায় গ্রেফতারি পরোয়ানা : বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_img

হাজি সেলিম আলোচনায় আসেন ১৯৯৬ সালে। রাজধানীর রাজপথে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মিছিলে নেতৃত্ব দেন। এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর আর পিছনে ফেরেননি। এমপি হয়েছেন একাধিকবার। তার ছেলে ইরফান সেলিম‌ও বাবার চেয়ে কম যান না। তিনিও রাজপথে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে পিটিয়ে আলোচনায় আসেন।

ক্ষমতার দম্ভে যা ইচ্ছে করা যায় না, তার প্রমাণ মিলেছে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারপিট ও হত্যাচেষ্টা মামলায় ইরফান সেলিমকে এখন বিচার মোকাবেলা করতে‌ হবে। কারণ তার বিরুদ্ধে বুধবার ঢাকার একটি আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। তার সঙ্গে আরো চার সহযোগী রয়েছেন আসামির তালিকায়।

বিচার শুরুর দিন‌ই আদালত ইরফানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এখন তার মাথার ওপর ঝুলে আছে সেই পরোয়ানা। আগামি ৬ মার্চ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য শুনানি শুরু হবে।

আমাদের আদালত প্রতিবেদক জানান, বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে এ মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।
শুনানির সময় ইরফান ছিলেন অনুপস্থিত। চেয়েছিলেন আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেবেন। সেই আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক। পরে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার অন্য ৪ আসামি হলেন—ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা, গাড়িচালক মীজানুর রহমান, মদীনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এ বি সিদ্দিক দীপু ও সহযোগী কাজী রিপন। এদের মধ্যে জাহিদুল বর্তমানে কারাগারে আছেন। মীজানুর ও দীপু জামিনে মুক্ত। কাজী রিপন পলাতক।

২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান ও নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে তাকে মারধর করে মেরে ফেলার হুমকি দেন এবং তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার দুই দেহরক্ষী জাহিদুল মোল্লা ও এ বি সিদ্দিক দীপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা দুই-তিন জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।

সর্বশেষ নিউজ