তুরস্ক ও সিরিয়ার স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২১ হাজার। এরমধ্যে তুরস্কেই ১৮ হাজারের কাছাকাছি মানুষ মারা গেছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষও এমনটি ধারণা দিচ্ছে। অন্যদিকে সিরিয়ায় উদ্ধার হয়েছে ৩ হাজার ১৬২টি মৃতদেহ।
এদিকে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা। তুষারপাতের তীব্র বাধা উপেক্ষা করেই চলছে উদ্ধারকাজ। ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়াদের জীবিত উদ্ধারের আশা এখন ক্ষীণ হয়ে আসছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্য বলছে, ভয়াবহ এই দুর্যোগে তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত গৃহহীন হয়ে পড়েছেন কয়েকলাখ মানুষ। খোলা আকাশের নিচে তীব্র ঠান্ডায় অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। অনেকেই ধ্বংসাবশেষ থেকে আবর্জনা ও কাপড় পুড়িয়ে শরীর গরম রাখার চেষ্টা করছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের মানচিত্র অনুসারে বলা যায়, এসব জায়গায় ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এরমধ্যে ৫০ লাখ মানুষ এখনো অরক্ষিত অবস্থায় আছে।
৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাত ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার প্রথম ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ খারমানমারাসের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। যার গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠে থেকে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটারে। এরপর একই দিন দুপুরে ও বিকেলে আরও দুইবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।