সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পুরুষ নির্যাতনের কথা লিখে আত্মহত্যা করেছেন খবির হোসেন (৪০) নামে এক যুবক। বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আত্মহত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা আমিনুল হক বাদী হয়ে চারজনের নামে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুক্রবার মৃত খবির হোসেনের স্ত্রী মুক্তি (৩২) এবং তার শাশুড়ি লতিফাকে (৫৫) আটক করে পুলিশ।
নিহত খবির হোসেন চাঁদপুরের উত্তর মতলবের ওটারচর এলাকার মো. আমিনুল হকের ছেলে। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের পুল এলাকায় ইসমাঈল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। সিদ্ধিরগঞ্জে সিএনজির ব্যবসা করতেন আমিনুল। লতিফা ও মুক্তি ছাড়াও বাকি দুই অভিযুক্ত হলেন রমজান (৪০) ও লুৎফর রহমান (৪০)।
অভিযোগপত্রে নিহতের বাবা উল্লেখ করেন, ছেলে খবির হোসেনকে তার সম্পত্তি বিক্রি করে শ্বশুরবাড়িতে বাড়ি নির্মাণ করতে দীর্ঘদিন ধরে চাপ প্রয়োগ করছিলেন তার স্ত্রী মুক্তি। বিষয়টি না মানলে অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় নানাভাবে খবিরকে অত্যাচার ও মানসিক নির্যাতন করছিল।
খবির দুই সন্তানের কথা চিন্তা করে বিবাদীদের এই অত্যাচার নীরবে সহ্য করেছে। কিন্তু দিনদিন ওর ওপর অভিযুক্তদের অত্যাচার বাড়তে থাকে। বিষয়টি নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হয় দুই পক্ষে। কিন্তু খবিরের স্ত্রী-শাশুড়ি তাদের কথার কোনো কর্ণপাত করেননি। বৃহস্পতিবার রাতে তারা খবর পান, তাদের ছেলে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে নিহতের বাবা আমিনুল হক বলেন, আত্মহত্যা করার আগের দিন আমার ছেলে ফেসবুকে তিনটি পোস্ট দেয়। ওই পোস্টগুলো দেখলেই বোঝা যায় আমার ছেলে মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।