ভূমিকম্পে ধসে যাওয়া অনেক ভবনের নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ১১৩টি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের সরকারি কর্মকর্তারা।
তুরস্কের পুলিশ এরই মধ্যে ভবন নির্মাণ ঠিকাদারসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। তুরস্কে আরও কিছু মানুষকে গ্রেফতার করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে অনেকে মনে করছেন, এই বিপর্যয়ের সার্বিক দায় অন্যের দিকে ঠেলে দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ এসব করছে।
বহু বছর ধরেই বিশেষজ্ঞরা হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছিলেন যে, ব্যাপক দুর্নীতি এবং সরকারি নীতির কারণে তুরস্কে নতুন যেসব ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে, সেগুলো মোটেই নিরাপদ নয়।
যেসব ঠিকাদার ভবন নির্মাণের নিয়ম-কানুন না মেনে কাজ করেছে, তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছিল এই সরকারি নীতির আওতায়। এর উদ্দেশ্য ছিল তুরস্কের নির্মাণ খাত যেন ভালো ব্যবসা করতে পারে। তুরস্কের ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চলেও এটা করা হয়েছিল।
কিন্তু ভূমিকম্পে হাজার হাজার ভবন ধসে পড়ে। এরপর প্রশ্ন উঠে, কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এত বেশি ক্ষয়-ক্ষতি হলো কি না।
এদিকে দক্ষিণ তুরস্কে বিক্ষোভের কারণে অনেক এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা ব্যাহত হয়েছে। তুরস্ক এবং সিরিয়ায় এই ভূমিকম্পে এপর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।