প্রকৃতি কখনো কখনো ভিন্ন রূপে হাজির হয়। স্নিগ্ধতা মায়া, হৃদয়ের আকুলতা। এসবই মানুষের মনন জগতের উপাদান। আর প্রকৃতি কখনো বা তার সঙ্গে আরো রঙিন কিছু যুক্ত করে দেয়।
প্রকৃতি আজ উতলা। এরই মধ্যে বইতে শুরু করেছে ফাগুনের হাওয়া। শীত বিদায়ের এই ক্ষণে জানান দিচ্ছে ঋতুরাজ বসন্তের আগমনী বার্তা। পঞ্জিকার পাতা ধরে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতিতে বর্ণিল সাজ।
শীতকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়েই বসন্ত বরণে চলবে ধুম আয়োজন। আবাল-বৃদ্ধা, তরুণ-তরুণী বসন্ত উম্মাদনায় মেতে উঠবে। শীত চলে যাবে রিক্ত হস্তে, আর বসন্ত আসবে ফুলের ডালা সাজিয়ে। বাসন্তী ফুলের পরশ আর সৌরভে কেটে যাবে শীতের জরা-জীর্ণতা।
এদিকে দিনটিকে আরও উপভোগ্য করে তুলতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন গ্রহণ করেছে নানা কর্মসূচি। কিন্তু কেমন থাকবে পহেলা ফাল্গুন আবহাওয়া। আকাশে মেঘ জমলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই, মূলত আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকবে। দিনের তাপমাত্রা একটু বাড়লেও রাত ও ভোরে হিম হিম শীত বজায় থাকবে।
আবহাওয়াবিদ নাজমুল জানান, আগামী দু-তিন দিন দেশের বেশিরভাগ এলাকায় তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে এরপর তাপমাত্রা বাড়তে পারে। এছাড়া কুয়াশা আরও কমে যেতে পারে। তবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে একটু ঠাণ্ডা বাড়তে পারে।
বসন্তবরণের আগের দিনে সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ার ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে বসন্তকে সামনে রেখে গ্রাম বাংলায় মেলা, সার্কাসসহ নানা বাঙালি আয়োজনের সমারোহ থাকবে। ভালোবাসার মানুষেরা মন রাঙাবে বাসন্তি রঙ্গেই। শীতের সঙ্গে তুলনা করে চলে বসন্তকালের পিঠা উৎসবও।