মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় আনন্দের বন্যা বইছে পাবনায়। এ জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে কাজ করছে এক অন্যরকম উন্মাদনা।
সোমবার সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করার পর তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স।
তাঁকে আরও অভিনন্দস জানান, সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, আহমেদ ফিরোজ কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস, নাদিরা ইয়াসমিন জলি, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ স ম আব্দুর রহিম পাকন, পাবনা পৌরসভা মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি আব্দুল মতীন খান, সাধারণ সম্পাদক শহীদুর রহমান শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, চেম্বার্স অব কমার্স, জেলা আইনজীবী সমিতি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরীসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও ব্যক্তি।
মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। শুরু হয় মিষ্টি মুখ, আনন্দ উল্লাস ও আনন্দ মিছিল। জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাৎক্ষণিক পথচারী ও রিকশাচালকদের মিষ্টি মুখ করান।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লালের নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল বের করা হয়।
শহরের রাধানগর মজুমদার একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি সোহেল হাসান শাহীনের নেতৃত্ব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে অপর একটি আনন্দ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাঙ্কপাড়ায় (শিবরামপুর) জন্মগ্রহণ করেন। পিতা শরফুদ্দিন আনছারী ব্যবসায়ী ও মাতা খায়রুন্নেসা গৃহিনী ছিলেন। ৪ ভাই ও ৬ বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।