ধর্ষণ মামলার আসামি, হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তিন পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এ মামলায় সাক্ষ্য দেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
সাক্ষ্য প্রদানকারী তিন পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন- সোনারগাঁও থানার তৎকালীন এএসআই মতিউর রহমান, কর্ণ কুমার হালদার ও শেখ ফরিদ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন জানান, পুলিশের তিনজন এএসআই সাক্ষ্য দিয়েছেন। এদের মধ্যে প্রথম সাক্ষী ও এএসআই শেখ ফরিদ আদালতে দাঁড়িয়ে যে সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে তিনি যে জবানবন্দি দিয়েছেন তার সঙ্গে কোন মিল নেই। এগুলো সব বানোয়াট ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ জানান, ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তিন পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামুনুল হক বাদীকে ধর্ষণ করেছে বলে আদালতে তারা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই তিন পুলিশ কর্মকর্তা সহ এখন পর্যন্ত ১৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করা অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন।
পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। মামুনুলের দাবি, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।