২০ জানুয়ারি ২০২৫, সোমবার

নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল কথা বলে কেন, কারণ জানালেন সিইসি

ডেক্স রিপোর্ট
spot_img
spot_img

নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে কেবল দেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা আছে- কারণ ব্যাখ্যা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কেন বাইরে থেকে বিভিন্ন দেশের লোকরা কথা বলে? এর কারণ হচ্ছে ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস ও আইসিসিপিআরে (ইন্টারন্যাশনাল কোভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস) অনুস্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। যে কারণে রাষ্ট্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলের প্রতিও বাংলাদেশের দায়বদ্ধতা আছে।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সিলেট জেলায় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া ৩৫ প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় ও শিল্পকলা একাডেমিতে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সিইসি।

হাবিবুল আউয়াল বলেন, জাতিসংঘের সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে মূল নথি ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস। সেখানে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি মানদণ্ড নির্ধারণ করা আছে। এছাড়া আইসিসিপিআরে (ইন্টারন্যাশনাল কোভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটস) মানুষের যে ভোট দেওয়ার অধিকার এবং ভোট পাওয়ার অধিকার, নির্বাচিত হওয়ার অধিকার এবং কীভাবে নির্বাচিত হবে, মানদণ্ড কী হবে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। আমরা ওটাতে অনুস্বাক্ষর করেছি। কাজেই আমাদের রাষ্ট্রের প্রতি যেমন দায়বদ্ধতা আছে, ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির প্রতিও আমাদের দায়বদ্ধতা আছে।

বৈঠক শেষে কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্য হবে। নির্বাচনে কোনো পক্ষপাতমূলক আচরণ হবে না। নির্বাচন যেকোনো মূল্যে নিরপেক্ষ হতেই হবে।

সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে ভোটারদের আস্থা ফিরে আসবে। নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ থাকে। বিএনপি যদি নির্বাচন প্রতিহত করতে আসে, তাহলে আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হবে। তবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতাও আছে আমাদের।

সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর কাছে পৃথিবীর কোনো দেশই বিচারিক ক্ষমতা দেয় না। আমাদের এখানেও দেয়া হবে না।

সংসদ সদস্য প্রার্থী ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ্ মিজান শাফিউর রহমান, পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান ও পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে গতকাল শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সিলেটে এসে পৌঁছান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম।

উল্লেখ্য, সিলেট জেলার ৬টি আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ লাখ ১৩ হাজার ৯৮৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৩ লাখ ৯১ হাজার ৫৭২ জন, নারী ভোটার ১৩ লাখ ২২ হাজার ৪১৪ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১০ জন।

সর্বশেষ নিউজ