ল্যাব এইড নামীদামী হাসপাতাল। এখানে নামকরা ডাক্তারের যেমন অভাব নেই আধুনিক যন্ত্রপাতিরও অভাব নেই। আমাদের পরিচিত বেশিরভাগ ডাক্তার বিশেষ করে টিংকুর বন্ধুবান্ধব এই হাসপাতালে বসেন। আমাদের পরিবারের সবাই এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে থাকি।
তা ছাড়া এই হাসপাতালের কর্ণধার শামিম ভাই অত্যন্ত মেধাবী এবং ভালো মানুষ। ঢাকা মেডিক্যালে টিংকুর ২ ব্যাচ সিনিয়র ছিলেন। ফলে আমাদের সাথে তার সখ্যতা।
যা বলছিলাম দামী হাসপাতাল। এখানে ভর্তির দ্বিতীয় সপ্তাহ চলছে । ১৮০০ টাকা প্রতিদিনের খাবার বাবদ সঙ্গে ২০০ টাকা ভেট মানে ২০০০ টাকা। হাসপাতাল কত্রিপক্ষ ৫০% লাভ করবে করুক। হয়ত সব হাসপাতাল তাই করে। কিন্তু প্রতি বেলায় একই মুরগি খেতে খেতে বিতৃষ্ণা চলে আসছে।মাঝে মধ্যে পোয়া মাছ নতুবা অন্য কোন কমদামী মাছ।
আমাদের দেশের ইউনাইটেড এবং অ্যাপোলো হাসপাতালের খাওয়া কেমন জানলে জানানোর অনুরোধ রইল।
পৃথিবীর নামীদামী হাসপাতালগুলোতে বেশি টাকা নেয় সত্য, কিন্তু ওরা রোগীর খাবারে প্রফিট খুঁজে না। সেবাটা ঠিকমত দেয়। অসুস্থ রোগী মানে দায়িত্ব সর্ব প্রকার চিকিৎসা আর সেবার।
শামিম ভাই নিশ্চয়ই এসব খাবার সম্বন্ধে জানেন না, যিনি খাবারের দায়িত্বে আছেন তার মাঝে ক্রিয়েটিভিটি নেই। ফোন দিয়ে জানাতে চাইলাম কিন্তু তিনি দেশে নেই।
গতরাত ছিল আমার জন্য বিভীষিকাময় রাত। রাতভর জ্বর।পাশের রুমে শৈশবে পোলিও আক্রান্ত ৮ বছরের শিশুটি বর্তমানে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ক্রমাগত কাশছে। ভেতর থেকে আসা কাশি। যতবার ওর কাশির আওয়াজ কানে আসছে ততোবার শিশুটির জন্য দোয়া করেছি, ”আল্লাহ্ তুমি ওকে ভালো করে দাও তারপর বলেছি আমাকেও ভালো করে দাও।” সকাল থেকে আলহামদুলিল্লাহ্ শিশুটির কাশি আর শুনা যাচ্ছে না।
লেখক: সম্পাদক, পূর্বপশ্চিম