ধ্বংসস্তূপে এখনও প্রাণের স্পন্দন, মৃত্যু ছাড়াল ৪৬ হাজার
দক্ষিণ তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের ১২ দিন পরও ধ্বংসস্তূপে মিলছে প্রাণের সন্ধান। এ যেনো এক অপার রহস্য। চাপা অবস্থা থেকে ফিরে আসার সম্ভাবনা সেখানে শুন্য, সেখানে প্রাণের সন্ধান মিলছে।
এদিকে দুই দেশে ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা অন্তত ৪৬ হাজারে পৌঁছে গেছে। তবে সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, শুক্রবার পর্যন্ত তুরস্কে নিহত হয়েছে ৩৯ হাজার ৬৭২ জন। একই সময় পর্যন্ত সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজারের বেশি মানুষের।
তুরস্কের পরিবেশ, নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মুরাত কুরুম জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ভূমিকম্প অঞ্চলের ৬ লাখ ৮৪ হাজারটি ভবন পরিদর্শন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ হাজার টিরও বেশি ভবন ‘ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ভূমিকম্পে তুরস্কের অন্তত দশটি প্রদেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পের পর থেকে দুই দেশে ব্যাপক উদ্ধার অভিযান চলছে। যদিও গৃহযুদ্ধে আগে থেকেই বিধ্বস্ত সিরিয়া। ভূমিকম্পের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বেশিরভাগ বাশার আল আসাদ সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। যুদ্ধ থেকে পালিয়ে তুরস্ক সীমান্তে দশ লাখের বেশি সিরিয়ান আশ্রয় নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেই অঞ্চলেও ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে বলেছেন যে, প্রায় ২০০ স্থানে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে। তাদের উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য ধ্বংসাবশেষ অপসারণে অভিযান শুরু হয়েছে।
যদিও এখনও কতজন লোক ধ্বংসস্তূপের নিচে, জীবিত বা মৃত হতে পারে সে সম্পর্কে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি। তবে ব্যাপকভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, ভারী নির্মাণ সরঞ্জাম দিয়ে ধ্বংসাবশেষ অপসারণের কাজ চলাকালীন সেখানে কেউ জীবিত থাকলে তারা মারা যেতে পারে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭.৮ ও ৭.৬ মাত্রার তীভ্র ভূমিকম্প আঘাত হানে।