দীর্ঘ দুই বছরের যুদ্ধে রাশিয়া ও ইউক্রেনে যে সংখ্যক নারী ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে তার ৬ গুণ মৃত্যু হয়েছে গাজায়। আর এ মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৫ মাসের ব্যবধানে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ভয়াবহ হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে গাজায় ১২ হাজার ৬৬০ শিশু ও ৮ হাজার ৫৭০ জন নারী নিহত হয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থল, সমুদ্র ও আকাশ পথ ব্যবহার করে ফিলিস্তিনে হামলা চালানোর ফলে ২৩ লাখ মানুষের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত হামলায় নিহত হয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি। এ হামলায় আহত হয়েছে আরও অন্তত সাড়ে ৬৯ হাজার ফিলিস্তিনি। যাদের ৭০ শতাংশেরও বেশি শিশু ও নারী।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ মিশনের (এইচআরএমএমইউ) তথ্য মতে, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১০ হাজার ৩৭৮ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৯ হাজার ৬৩২ জন। নিহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৫৭৯ জন এবং নারী ২ হাজার ৯৯২ জন।
তীর্থ করতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মারা গেলেন ২২ পুণ্যার্থী
ফিলিস্তিনি বিভিন্ন সূত্র বলছে, গাজায় নির্বিচারে বোমা ও বিস্ফোরক ব্যবহার করছে ইসরায়েল। বিগত ১৪০ দিনে ইসরায়েল গাজায় অন্তত ৬৬ হাজার টন বিস্ফোরক ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। গাজার আয়তন বিবেচনায় এই সময়ের মধ্যে অঞ্চলটির প্রতি বর্গ কিলোমিটারে অন্তত ১৮৩ টন করে বিস্ফোরক ফেলেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী।
গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় ১৯ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচি বলছে, গাজায় ৩ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ ভয়াবহ খাদ্য সমস্যার মধ্যে দিন পার করছে। এছাড়া আরও ৯ লাখ ৩৯ হাজার মানুষ চরম খাদ্য অভাবের মধ্যে রয়েছে।