১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার

বায়তুল মোকাররম এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধের প্রতিবাদে যা বলছে ইসলামী দলগুলো

ডেক্স রিপোর্ট
spot_img
spot_img

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় রাজনৈতিক মিছিল, সভা, সমাবেশ, বিক্ষোভ-মিছিল নিষিদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এ ধরনের নির্দেশনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী দলগুলো। তারা বলেছেন, বায়তুল মোকাররমে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ হলে জরুরি ভিত্তিতে সরকারকে একটি সভার স্থান নির্ধারণ করে দেয়া উচিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত আমিনী চ্যানেল 24 অনলাইনকে বলেন, বায়তুল মোকাররমে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের কারণে এখন অন্য জায়গা বেছে নিতে হবে। ইসলামী আন্দোলন বন্ধ করার জন্য বায়তুল মোকাররম বন্ধ করে দিলেই যে বন্ধ হয়ে যাবে বিষয়টা এরকম না। কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত বাতিল থাকবে, বাতিলের মোকাবিলা হকপন্থীরা করেই যাবে। আগে আমরা পল্টনে মিছিল-মিটিং করতাম, যেকোনো কৌশলে ওইখানে মিছিল মিটিং বন্ধ করা হয়েছে। তারপর পুরানা পল্টনে, এরপর বায়তুল মোকাররম। এটাও যদি কৌশলে বন্ধ করে থাকে তাহলে সেটা আসলে শুভবুদ্ধির উদয় না। কারণ আন্দোলন যেকোনো জায়গা থেকে করা সম্ভব। বরং সরকারের উচিত হচ্ছে, যারা হকের ওপর থেকে প্রতিবাদ করে তাদের জন্য সুন্দর স্থান তৈরি করে দেয়া। ইসলামী আন্দোলন কেউ কখনও সংকোচিত করতে পারবে না। যতই সংকোচিত করতে যাবে ততই এরা প্রসারিত হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক গভর্নর ও বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী চ্যানেল 24 অনলাইনকে বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ২০১০ সালে আমরা আলোচনা করেছিলাম মসজিদে সভা-সমাবেশের কারণে অসুবিধা হয়। যদি বায়তুল মোকাররম মসজিদে সবার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে আমি মনে করি সভা-সমাবেশের জন্য বিকল্প স্থান নির্ধারণ করা উচিত। এটা হাইকোর্টের নির্দেশনার মধ্যে আছে কিনা আমি জানি না। হাইকোর্টের নির্দেশনাকে সম্মান করি। সভা-সমাবেশের স্থান যদি একেবারে সংকোচিত হয়ে যায় তাহলে কোনো স্পেসই থাকবে না তাদের। এ ব্যাপারে সরকারকে খুব জরুরি ভিত্তিতে ভেবে দেখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলন যারা করে তাদের নির্ধারিত স্থানে করার প্রয়োজন হয় না। কারণ তারা যেকোনো স্থান থেকেই সভা-সমাবেশ করতে পারে। আমরাও রাজনীতি করি। আমাদেরও তো সভা-সমাবেশ করার স্থানের প্রয়োজন হয়। যদি এটি সবার জন্য কার্যকরী হয় তাহলে আমি দ্বিমত করবো না। কিন্তু আমি চাই সরকার যেন জরুরি ভিত্তিতে একটি সভার স্থান নির্ধারণ করেন।

 

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমদ চ্যানেল 24 অনলাইনকে বলেন, আইনে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক পন্থায় ধর্মীয় কার্যক্রম ও রাজনীতি করবে। এখানে কোনো প্রতিবন্ধকতা সংবিধান বিরোধী হলে মেনে নিতে পারি না।

 

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের চ্যানেল 24 অনলাইনকে বলেন, কয়েকদিন পর সরকার চলা ফেরায় নিষিদ্ধ করে দেবে। আমরা বায়তুল মোকাররমের বাহিরে সভা করি। সরকার কৌশলে সব কিছু বন্ধের পায়তারা করছে। এটা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী চ্যানেল 24 অনলাইনকে বলেন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ হিসেবে এর প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। এর সম্মান মর্যাদা রক্ষা করা দরকার। আগে যেরকম পল্টন মাঠ বা মানিক মিয়া এভিনিউ ছিলো। একটা স্পেস তো লাগবে। যেখানে যেকোনো দল সভা-সমাবেশ করবে। এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। এই অধিকারের সুরক্ষায় যেকোনো একটা স্পেস তৈরি করে দিতে হবে। আমরা দাবি জানাবো এমন একটা জায়গা যেন ঠিক করে দেয়া হয় যেখানে সভা-সমাবেশ করা যাবে।

সর্বশেষ নিউজ