রাজবাড়ীতে নিখোঁজের তিন দিন পর কাজল মিয়া (১৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের খলিলের মোড়ের একটি মুদি দোকানের ফ্লোরের নিচ থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
কাজল একই এলাকার মনিরুল মিয়ার ছেলে। ধারণা করা হচ্ছে, দোকানে সিধ কেটে চুরি করতে গিয়ে আটকা পড়ে মারা যায় কাজল।
জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রয়ারি সন্ধ্যায় প্রতিবেশী রাজ্জাক মোল্লার ছেলে নাহিদের সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর বাসায় ফেরেনি কাজল। পরদিন সকালে নাহিদের কাছে কাজলের কথা জানতে চাইলে নাহিদ জানায় রাত ১১ টার দিকে সে বাসায় চলে গেছে। এরপর দুই দিন ধরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কাজলকে পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাসুদের দোকান ঘরের নিচ থেকে দুর্গন্ধ পান স্থানীয়রা। পরবর্তীতে স্থানীয় মেম্বারসহ কয়েকজন মিলে দোকানের ফ্লোর ভেঙে দেখতে পায় যে কাজলের মরদেহ মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে। পরবর্তীতে পুলিশকে খবর দেয়া হয় এবং পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
যশাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হোসেন খান গণমাধ্যমকে জানান, কাজল মুদি দোকানের পেছনের দিক দিয়ে দোকান ঘরে ঢুকতে চেয়েছিল। কিন্তু ফ্লোর পাকা আর বালু সরিয়ে ঢুকতে গিয়ে আশপাশের বালুতে চাপা পরে তার মৃত্যু হয়। দোকানের মালিক তিনদিনে বিষয়টি বুঝতে পারেনি। আজ যখন গন্ধ বের হচ্ছিল তখন টের পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান জানান, দোকানের পাকা ফ্লোর ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে দোকানে চুরি করতে গিয়ে আটকা পড়ে ওই যুবক মারা গেছে। তারপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত করে বলা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ।