জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে জড়িতদের রাষ্ট্রীয় আইনে শাস্তিসহ পাঁচ দাবি জানিয়েছে তারা।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রভাবমুক্ত যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে। অংকন বিশ্বাসসহ এর আগে যারা অভিযোগ দায়ের করেছে, সব অভিযোগের দ্রুত তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আগের প্রক্টরিয়াল বডির বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য তদন্তসহ অবন্তিকা ও অংকনের স্মৃতিতে ক্যাম্পাসে দুটি স্থায়ী ফলক নির্মাণের দাবি তোলা হয়।
আর দাবি আদায়ের লক্ষ্যে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেওয়াসহ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
গত শুক্রবার রাতে কুমিল্লা শহরের নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আত্মহত্যার আগেই নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তার মৃত্যুর জন্য সহপাঠী আম্মান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করেন অবন্তিকা।
তার মৃত্যুর পর মায়ের করা মামলায় দ্বীন ইসলাম ও আম্মানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুই আসামিকে রোববার কুমিল্লা জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এরপর তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় আসামিদের আংশিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ। অভিযুক্ত শিক্ষককে জবি থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।