১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বুধবার

পুলিশ সদস্যকে হত্যার পর নাম বদলে মডেল-অভিনেত্রী হয়ে যান রিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_img
spot_img

২০১৬ সাল থেকে ছোট ও বড় পর্দায় অভিনয় করেন সুহাসিনী অধরা। শোবিজ অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন ভালোভাবেই। ভালোই চলছিল তাঁর জীবন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।

সুহাসিনী অধরা নামটি যে তাঁর আসল নাম নয় সেটি জানা গেল র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলনে। তিনি আসলে শাহ আলী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হ‌ুমায়ূন কবির (৪৪) হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কথিত মডেল ফজিলাতুন্নেছা রিয়া।

হত্যার পর গত ১০টি বছর নাম পরিচয় গোপন করে বাস করছেন রাজধানীতেই।

শুক্রবার সকালে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে মেরুল বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ার থেকে রিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায়।

র‍্যাব জানায়, ২০১৩ সালে মিরপুরের পূর্ব মনিপুরের ১০৫০/৩ কাঁঠালতলার একটি ভবন থেকে শাহ আলী থানায় কর্মরত এএসআই হ‌ুমায়ূন কবিরের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে বিষক্রিয়া ইনজেকশন দিয়ে এবং শ্বাসরোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করে রিয়া ও তার স্বামী রাফা-এ-মিষ্টি। রাফা এই হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি। তাকে গত বছর গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। কথিত এই মডেল তার স্বামীসহ হ‌ুমায়ূন কবিরের বাসায় সাবলেট থাকতেন।

র‍্যাব অধিনায়ক আরও জানান, ২০১৩ সালে এএসআই হ‌ুমায়ূন হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চলে যান রিয়া। সেখানে গিয়ে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১৫ সালে নাম-পরিচয় পরিবর্তন করেন। জাল এসএসসি সার্টিফিকেট তৈরি করে ঢাকার একটি মাল্টিমিডিয়া কোম্পানির বিক্রয় কর্মী হিসেবে চাকরি শুরু করেন তিনি।

২০১৬ সাল থেকে মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে ছোট, বড় পর্দায় নিজের নাম লেখান রিয়া। তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম ফজিলাতুন্নেছা রিয়া থেকে কৌশলে সুহাসিনী অধরা করেন। নিজেকে মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। বসবাস শুরু করেন রাজধানীর মেরুল বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারে।

সর্বশেষ নিউজ