ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে কোনো ঘুষ, সুপারিশ ও হয়রানি ছাড়া বাগেরহাটের ৩৭ তরুণ-তরুণী চাকরি পেয়েছেন। রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাট পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচিতদের নাম ঘোষণার সময় জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাদের সবাই। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে দেশের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন তারা।
নতুন চাকরি পাওয়া শামীম হাসান নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমার মেয়ের চাকরি হয়েছে। কোনো প্রকার ঘুষ-সুপারিশ কিছুই লাগেনি। এতে আমরা অনেক খুশি হয়েছি।
শহরের মুমতাজিন হোসেন শেখ নামের এক তরুণ বলেন, শুনেছি সরকারি চাকরির জন্য অনেক টাকা পয়সা লাগে। অনলাইনে ১২০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করেছিলাম। এ ছাড়া কোনো টাকা লাগেনি। কাউকে দিয়ে সুপারিশও করাতে হয়নি। আমার কাছে এই চাকরিটা এখনও স্বপ্নের মতো লাগছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আবুল হাসানাত খান বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে গোয়েন্দা পুলিশসহ জেলা পুলিশের সব সদস্য সতর্ক ছিল। কোনো প্রকার টাকা পয়সার লেনদেন বা অনিয়ম রোধে সবাই এক সঙ্গে কাজ করছি। সব মিলিয়ে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া খুবই স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে হয়েছে। এখানে কোনো প্রকার অবৈধ লেনদেন বা স্বজনপ্রীতি হয়নি। ভবিষ্যতেও এভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, এবার অনলাইনে আবেদন ও যাচাই-বাছাই শেষে ১ হাজার ৬৬৬ জনের মধ্যে শারীরিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মধ্যে ৩৭ জন নিয়োগ পেয়েছেন। এর মধ্যে ৩০ জন ছেলে ও ৭ জন মেয়ে রয়েছে।