১০ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার

যেখানে গেছেন সেখানেই রাজস্ব বৃদ্ধি কয়েকগুণ

ডেক্স রিপোর্ট
spot_img
spot_img

তিনি একজন উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। তিন দশকে বিভিন্ন সংস্কার ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এনে
কর্মক্ষেত্রে গতি সঞ্চারের দৃষ্টান্ত গড়েছেন। ফলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে যেখানে তিনি দায়িত্ব পালন
করেছেন সেখানেই রাজস্ব বৃদ্ধির কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। তবে এ কাজ করতে গিয়ে পদে পদে শুধু
প’তিবন্ধকতাই নয়, স্বার্থান্বেষী একটি মহলেরÑ বিশেষত শুল্ক ফাঁকির সঙ্গে জড়িত দুষ্টুচক্রের নানা ষড়যন্ত্রের
শিকার তাঁকে হতে হয়েছে। চক্রটি একাধারে হয়রানী এবং কর্মক্ষেত্রে তাঁর সুনাম, ব্যক্তিগত ও সামাজিক
ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার নানা অপতৎপরতা চালায়। এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন দপ্তরে বেনামীতে ভুয়া অভিযোগ
থেকে শুরু করে পত্র-পত্রিকায় উদ্দেশ্যপ’ণোদিত প’তিবেদন প’কাশসহ নানা অপকর্ম চালাতে দ্বিধা করেনি।
এখনও প’তিহিংসাবশত কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে তৎপর। তবে তিনি নিষ্ঠা ও চারিত্রিক দৃঢ়তরে সঙ্গে
একের পর এক প’তিবন্ধকতা মোকাবেলা করে কর্মজীবনে সাফল্যের প্রায় শিখরে পেঁদ্বছেছেন। যার প’সঙ্গে
এসব কথা বলা হলো, তিনি হলে জাতীয় সদস্য বোর্ডের সদস্য এবং কাস্টমস, এক্সসাইজ এন্ড ভ্যাট
আপিলাত ট্রাইব্যুনালের পে’সিডেন্ট ড. মো. মতিউর রহমান।
কর্মক্ষেত্রে ড. মো. মতিউর রহমানের রাজস্ব বৃদ্ধিতে দক্ষতা ও সৃজনশীলতা অল্পকথায় বলে শেষ করা যায়
না। সময়ের দাবিপূরণে তিনি সংস্কারমূলক কাজে কখনো পিছপা হননি। এজন্য নানা প’তিক‚লতাÑ এমনকি
মহল বিশেষের শত্রæতাও মোকাবেলা করে তাঁকে এগুতে হয়েছে। তিনি কাস্টমস এবং বন্ডেড ওয়্যার হাউস
অটোমেশন এবং ডিজিটালাইজেশন প’চলনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখেন। রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থেই
অটোমেশন এবং ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তনের প’তি বিশেষ আগ’হ দেখিয়ে আসছেন। তিনি যখন
চট্টগ’াম কাস্টমস হাউসে অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তখন সেখানে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স
পদ্ধতিকে গতিশীল করার জন্য ব্যাপক সংস্কার সাধন করেন। বর্তমানে চট্টগ’াম কাস্টমস হাউসে যে সামগি’ক
অটোমেশন লক্ষ করা যায় তার শক্ত ভিত্তি ড. মো. মতিউর রহমানই গড়েছিলেন। একইভাবে রাজধানী
ঢাকায় কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে তিনি উপলব্ধি করেন, বন্ডেড
ওয়্যারহাউসের কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনা গেলে প’তি বছর শত শত কোটি টাকার রাজস্ব বৃদ্ধি
করা সম্ভব হবে। তিনি এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেন। বন্ডেড ওয়্যারহাউস অটোমেশনের রূপরেখা চ‚ড়ান্ত
হওয়ার পর তা ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে এননেক-এ অনুমোদিত হয়ে বাস্তবায়িত হতে থাকে।
ছাত্রজীবনে ড. মতিউর রহমান বরাবরই মেধাবী ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগে তিনি
অনার্সে ফার্স্টক্লাস থার্ড এবং মাস্টার্সে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হন। এমবিএ পরীক্ষাতেও সিজিপিএ- এর চারের
মধ্যে ৩.৮ অর্জনের কৃতিত্ব দেখান। তিনি আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের পে’স্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
্রইনডিভিজুয়াল অ্যাচিউড অব শেয়ার হোল্ডারস ইন রেসপেক্ট অব ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্ছ” বিষয়ের ওপর
পিএইচডি ডিগি’ লাভ করেন। ছাত্র জীবনের মতোই কর্মজীবনেও তিনি মেধাকে কাজে লাগান এবং
কর্মক্ষেত্রে একের পর এক সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রাখেন। বিসিএস ক্যাডার সার্ভিসে যোগদানের আগে ১৯৯০
সালের জানুয়ারিতে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে ড. মো. মতিউর
রহমানের কর্মজীবনের সূত্রপাত ঘটে। সেখানে তিনি সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন এবং দারিদ্র বিমোচনের
ওপর আট মাসের প’শিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। ১১ তম বিসিএস পরীক্ষায় সম্মিলিতি মেধা তালিকায় অষ্টম
স্থান অধিকার করে ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দেন এবং সাফ্যলের সঙ্গে ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সে দ্বিতীয় স্থান
লাভ করেন। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে মতিউর রহমান বেশ কিছু প’শিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ
নেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে চাকরির ক্ষেত্রে ড. মো. মতিউর রহমান রীতিমতো প’বাদের মতো কাÐ
ঘটিয়েছেন। তিনি যেখানে গেছেন সেখানেই শুল্ক বৃদ্ধির নজির গড়েছেন। ফলশ’æতিতে ওয়াকিবহাল মহলে এ
কথাটি প’চলিত যে তিনি যেখানেই যান সেখানেই শুল্ক আদায়ের পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

স্বাভাবিকভাবেই সরকারের এই রাজস্ব বৃদ্ধির ফলে অনেকেরই স্বার্থহানী কিংবা আর্থিক ক্ষতি হয়। যা থেকে
বিভিন্ন কর্মস্থলে তাঁর শত্রæ অভাব ঘটেনি। ফলশ’æতিতে নানা ষড়যন্ত্র, অপপ’চারÑ এমন কি হয়রানীর শিকারও
হতে হয়েছে বার বার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য হওয়ার পরও তাঁর প’তি বিরূপ গোষ্ঠী যে হাত-পা
গুটিয়ে বসে আছে এতটা আশা করা যায় না। আর মহল বিশেষের এই বিরূপ হওয়া বা শত্রæতার কারণ তাঁর
দীর্ঘ চাকরি জীবনের কৃতিত্বের মাঝেই খুঁজে পাওয়া যায়। দক্ষ এবং কর্তব্যের প’তি অঙ্গীকারবদ্ধ এই উচ্চ
পদস্থ শুল্ক কর্মকর্তা বরাবরই চেষ্টা করেছেনÑ শুল্ক ফাঁকি রোধ করে সরকারের রাজস্ব বাড়াতে।
বিসিএস ক্যাডার হিসেবে ড. মো. মতিউর রহমানের প’থম কর্মস্থল ছিল কাস্টমস, এক্সসাইজ এন্ড ভ্যাট
কমিশনারেট, ঢাকা (উত্তর)- এর টঙ্গি ডিভিশনে। সেখানে ১৯৯৪ সালের মে থেকে ১৯৯৫ সালের আগস্ট
পর্যন্ত ডিভিশনাল অফিসার পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় তাঁর একান্ত প’চেষ্টায় ওই ডিভিশনে গড়ে মাসিক রাজস্ব
সাত কোটি টাকা থেকে ১২ কোটি পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক প’তি
মাসে ৬০ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার ঘটনা উদঘাটন করে তিনি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিলেন। শুল্ক ফাঁকি
উদঘাটনের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার বাবদ তিনি ১৭ লাখ টাকা লাভ করেন। ২০০০ সালের জানুয়ারি থেকে
২০০১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বেনাপোল কাস্টমস স্টেশনে কর্মরত থাকা অবস্থায় মতিউর রহমান বেনাপোল
চেক পোস্টের দুর্নীতিসহ অবৈধ কর্মকাÐ সম্পূর্ণ নির্মূল করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। এ কারণে
সেখানকার চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত একটি দুষ্টচক্র তাঁকে হত্যা চেষ্টা চালায়। বেনাপোলে থাকার সময়ে
শুল্ক ফাঁকির বিভিন্ন ঘটনা প’তিহত করার কাজের স্বীকৃতিবাবদ ৭.৫ লাখ পুরস্কার তাঁকে দেওয়া হয়েছিল।
২০০১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০০৩ সালের ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত ড. মো. মতিউর রহমান কাস্টমস বন্ড
কমিশনারেটে কর্মরত থাকা অবস্থায় এই দপ্তরের সংস্কারমূলক কর্মকাÐ এবং দুর্নীতি রোধের ক্ষেত্রে বেশ
দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। সে সময় তাঁর কাজ এবং পদক্ষেপসমূহ খুব প’শংসীত হয়েছিল। অসাধারণ
দক্ষতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার কারণে মতিউর রহমানকে কক্সবাজার ভ্যাট ডিভিশনে বদলি করা হয়। যার মধ্যে
ছিল চোরাচালানের জন্য তখন কুখ্যাত টেকনাফ স্থলবন্দর। সেখানে চোরাচালান বন্ধের যথাযথ পদক্ষেপ
নেওয়ায় এক বছরের মধ্যে শুল্ক আদায় ৪৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়Ñ যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল মাত্র ৭ কোটি
টাকা।
শুরু থেকেই বিভিন্ন কর্মস্থলে একের পর এক সাফল্যের পরিপে’ক্ষিতে ২০০৪ সালের ফেব্রæয়ারিতে ড. মো.
মতিউর রহমানকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে বদলি করা হয়। ২০০৬ সালের অক্টোবর পর্যন্ত
সেখানে চাকরিরত অবস্থায় ৬২৭ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি উদঘাটনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বুড়িমারী এবং
হিলি কাস্টমস স্টেশনে শুল্ক ফাঁকির কেদ্বশলসমূহ চিহ্নিত করে তা প’তিরোধের উদ্যোগ নেন। শুল্ক গোয়েন্দা
ও তদন্ত অধিদপ্তরে থাকার সময় তিনি ৭২.৫ কেজি হোরাইন চোরাচালন ধরার ক্ষেত্রে অবদান রাখেন এবং
বাংলাদেশে হেরোইন পাচারের রুটসমূহ শনাক্ত করে প’তিবেদন পেশ করেন। পেশাগত কৃতিত্ব প’দর্শনের
ফলশ’æতিতে ড. মো. মতিউর ২০০৬ সালের নভেম্বরে অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে চট্টগ’াম কাস্টমস হাউসে
যোগ দেন। ওই সময়েÑ বিশেষ করে ‘ওয়ান-ইলেভেনদ্ধ খ্যাত ক্ষমতার পট-পরিবর্তনের পর তৎকালীন সেনা
সমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার চট্টগ’াম বন্দরে কনটেইনার জ্যামসহ নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার পরিপে’ক্ষিতে
সংস্কারমূলক কাজের উদ্যোগ নেয়। এ লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন ড. মো. মতিউর রহমান।
যে সব সমস্যা সমাধানে তিনি অগ’ণী ভ‚মিকা রাখেন, তার মধ্যে ছিল ১৯৮৩ সাল থেকে সেখানে জমে ওঠা
বিষাক্ত ও বর্জ্য পদার্থসহ পরিত্যক্ত মালামালের ধ্বংস সাধন। যে কাজ করার জন্য যেখানে ১০ কোটি টাকা
মূল্যের একটি বিশেষায়িত মেশিন কেনার প’স্তাব করা হয়েছিল, সেখানে মাত্র ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করে
ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ফার্নেস ব্যবহারের মাধ্যমে ওইসব বর্জ্য নিরাপদে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছিল। সংস্কার
কমিটির দুর্নীতি বিরোধী পদক্ষেপের ফলে চট্টগ’াম কাস্টমস হাউসের সেবার মান উন্নত হওয়ায়। দুষ্টচক্র ও
সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রিত নিলাম ব্যবস্থা নিস্ক্রিয় করা হয়। সেই সঙ্গে ডাইরেক্ট ট্রেডার্স ইমপুট সিস্টেম প’চলন এবং
ডাটাবেজের মাধ্যমে সকল স্টেকহোল্ডারের তথ্যাদির উন্নয়নের পাশাপাশি এসেস কন্ট্রোল সিস্টেম প’সার
ঘটানো হয়। ফলশ’æতিতে একদিকে রাজস্ব বৃদ্ধি আরেকদিকে দুর্নীতি হ্রাস পায়। এহেন কৃতিত্বের পরও দেখা
গেছে, ড. মো. মতিউর রহমানের পেশাগত শত্রæরা তার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে হয়রানী করার জন্য মিথ্যা

গুজব রটানো থেকে শুরু করে তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ ও অপপ’চার চালিয়ে গেছে। এর পে’ক্ষিতে
তাঁকে রাজশাহীর কাস্টমস, এক্সসাইজ এন্ড ভ্যাট কমিশনারেটে অতিরিক্ত কমিশনার পদে বদলি করা হয়।
তবে চট্টগ’াম কাস্টমস হাউসে অটোমেশন এবং সংস্কার কাজে তার দক্ষতা ও যোগ্যতা দেখে তত্ত¡াবধায়ক
সরকারের যেদ্বথবাহিনী তাঁকে দায়িত্বে বহাল রাখে। ফলে চট্টগ’াম কাস্টমস হাউসে অটোমেশন ও সংস্কার
কাজে ব্যস্ত থাকলেও বেতন তুলতে হতো রাজশাহী কাস্টমস, এক্সসাইজ এন্ড ভ্যাট কমিশনারেট থেকে।
এই সংস্কার ও অটোমেশন নানা মহলে প’শংসিত হলেও ড. মো. মতিউর রহমানের পেশাগত শত্রæদের ঈর্ষা
অব্যাহত থাকে। কর্মক্ষেত্রে মহল বিশেষের চক্রান্ত ও হয়রানীর শিকার হওয়ার পরিপে’ক্ষিতে তিনি ২০০৮
সালের ৬ অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রিসার্চ উইং-এর পরিচালক
পদে যোগ দেন। সেখানে অল্প সময়ের মধ্যে বেশ কিছু সংস্কারমূলক কাজ সম্পন্ন করেন। যার মধ্যে ছিল এ
২১ প’কল্পের সহযোগিতায় পররাষ্ট্র দপ্তর ওয়েবসাইটের আধুনিকায়ন।
২০০৯ সালের নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের
সপক্ষের সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর পেশাগত ক্ষেত্রে ড. মো. মতিউর রহামানের শত্রæরা প্রতিহিংসাবশত
আবার তাঁর পিছনে লাগে। তাঁকে ছাত্রশিবিরের ক্যাডার বলে অপপ’চার চালায়। তাঁকে ওএসডি করা হয়।
অথচ তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের আবাসিক ছাত্র থাকা অবস্থায় তো দূরের কথা, কখনোই
কোনো ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এক্ষেত্রে তাঁর আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবুল
বারাকাতের অভিমত এবং সরকারি গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনি আবার চাকরিতে ফিরে আসেন।
২০০৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ড. মো. মতিউর রহমান কাস্টমস বন্ড
কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় এনবিআর চেয়ারম্যান মো.
নাসিরউদ্দিনের (বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার) সহযোগিতায় তিনি বন্ডেড ওয়্যারহাউস
পদ্ধতির অটোমেশনের গুরু দায়িত্ব পালন করেন। অটোমেশন প’ক্রিয়া সম্পন্ন করতে গিয়ে তাঁকে সকল
স্টেকহোল্ডারের মতামত এবং সহযোগিতার জন্য ২৭টি সেমিনারের আয়োজন করতে হয়। ব্যবসায়ীদের
সর্বোচ্চ ফোরাম এফবিসিসিআই-এর বর্তমান চেয়ারম্যান এক্ষেত্রে সেসময় গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন
করেছিলেন। অতঃপর ড. মো. মতিউর রহমান কাস্টমস, এক্সসাইজ এন্ড ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (পশ্চিম)-
এর কমিশনার হিসেবে ২০১৫ সালের ৬ এপি’ল থেকে ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট পর্যন্ত অত্যন্ত সফলতার
সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত নতুন অফিস স্থাপন; অত্যন্ত স্বচ্ছ
প’ক্রিয়ার মাধ্যমে ১৩০ জন কর্মচারী নিয়োগ এবং ৫০ শতাংশের বেশি রাজস্ব প’বৃদ্ধির সাফল্য তিনি প’দর্শন
করেন।
বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) ভ্যাট-এর কমিশনার পদে ২০১৬ সালে ২৮ আগস্ট থেকে ২০১৮ সালের
৮ আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে ড. মো. মতিউর রহমানের উচুঁ মাত্রায় নিষ্ঠার সাথে তাঁর দপ্তরকে
আধুনিকায়ন এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সক্ষম হন। তাঁর এই ডায়নামিক নেতৃত্বের
ফলে এলটিইউ ভ্যাট ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত মোট রাজস্ব সংগ’হ করেছিল
১৯,৯৭৫ কোটি টাকা। একই সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মোট ভ্যাট সংগ’হ ছিল ৩৫,৭০৫ কোটি টাকা।
ওই অর্থবছরে যেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব আদায়ের প’বৃদ্ধি ছিল ১৭ শতাংশ, সেখানে এলটিইউ
ভ্যাট-এর প’বৃদ্ধি ১৯.১৭ শতাংশ। এই রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি এলটিইউ ভ্যাট কর্তৃপক্ষ
সে সময় মোট ৩০৫৫.৭০ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি শনাক্ত করেছিল। কমিশনার হিসেবে মতিউর রহমানের
এই সর্ব বৃহৎ করদাতা সেক্টরে কাজের ক্ষেত্রে বিপুল অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষ করে টোবাকো খাতে বিভিন্ন
ভ্যাট কমিশনারেটকে কাজে লাগান। বর্তমানে এলটিইউ ভ্যাট দুটি বৃহৎ সিগারেট উৎপাদনকারী প’তিষ্ঠান
ব্রিটিশ আমেরিকা টোবাকো এবং ঢাকা টোবাকো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে রাজস্ব আদায় তাঁর প্রদর্শিত
পথেই এগুচ্ছে।
এলটিইউ ভ্যাটের কমিশনার হিসেবে সাফল্যের নজির স্থাপনের পর ড. মো. মতিউর রহমান ২০১৮ সালের
১৮ আগস্ট থেকে ২০২১ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত লিয়েন ছুটিতে থাকা অবস্থায় আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যে

জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে চীনের জিয়ামেন গোল্ড বেসিন ট্রেডিং লিমিটেডের সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০২১
সালের ১৬ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত কাস্টমস, এক্সসাইজ এন্ড ভ্যাট আপিলাত
ট্রাইব্যুনালের মেম্বার (টেকনিক্যাল) হিসেবে তাঁর বিচারাধীনে থাকা বহু অমীমাংসিত মামলা নিষ্পত্তি এবং
যথাযথ রায় প’দান করেন। ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত কাস্টমস, এক্সসাইজ এন্ড
ভ্যাট আপিল কমিশনারেটের কমিশনার হিসেবে স্বল্প সময়ের মধ্যে একই ধারা অব্যাহত রাখেন। ২০২৪
সালের ২২ ফেব্রæয়ারি থেকে কাস্টমস, এক্সসাইজ এন্ড ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের পে’সেডিন্ট এর দায়িত্ব
গ’হণের পর অমীমাংসিত মামলা সমুহ নিষ্পত্তি এবং যথাযথ রায় প’দানের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভ‚মিকা পালন
করছেন। ড. মো. মতিউর রহমান কর্মজীবনের নিয়মিত দাপ্তারিক কাজের পাশাপাশি ২০২২ সালের ২
ফেব্রæয়ারি থেকে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবেও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন
করে আসছেন। এছাড়া তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত বরিশাল বিভাগ অফিসার্স এসোসিয়েশনের
সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ২০১৬ সাল থেকে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে পালন করেছেন। দীর্ঘ কর্মজীবনের
বিভিন্ন সময়ে ড. মো. মতিউর রহমান দেশে-বিদেশে বেশ কিছু পেশাগত প’শিক্ষণ গ’হণ করেন। ভ্যাট
অ্যাকাউন্টিং, কাস্টমস মর্ডানাইজেশন, কাস্টমস অটোমেশন, পোস্ট ক্লিয়ারেন্স অডিট, ভ্যাট অডিট ইত্যাদি
বিষয়ে প’শিক্ষণ তাঁকে একজন দক্ষ ও সফল কর্মকর্তা হিসেবে গড়ে তোলে। ফলশ’æতিতে কর্মজীবনে
নজিরবিহীন সাফল্যের কারণে তিনি পেশাগত ক্ষেত্রে অনেকের ঈর্ষার পাত্র এবং শুল্ক ফাঁকিবাজ চক্রের
শত্রæতে পরিণত হন।
ড. মো. মতিউর রহমানের জন্ম ১৯৬৬ সালের ১ জানুয়ারিতে, বরিশাল জেলার মুলাদি উপজেলার কাজীরচর
ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ’ামে। তাঁর বাবা আলহাজ্ব মো. আবদুল হাকিম হাওলাদার ছিলেন এলাকার একজন
শ’দ্ধেয় ব্যক্তি। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি নিয়োজিত ছিলেন সমাজসেবায় এবং ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের
জনপি’য় চেয়ারম্যান। তাঁর পরিবার ‘হাওলাদার ফাউন্ডেশনদ্ধ নামক একটি অলাভজনক সংগঠন পরিচালনা
করে থাকে স্থানীয়ভাবে কারিগরি শিক্ষা উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্যে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য এবং কাস্টমস এক্সসাইস এন্ড ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের পে’সিডেন্ট ড. মো.
মতিউর রহমান উত্তরাধিকার সূত্রেই সমাজসেবার গুণটি পিতার কাছ থেকে পেয়েছেন। কর্মজীবনের
পাশাপাশি তিনি সমাজের নানা উন্নয়ন ও কল্যাণমুখী কর্মকাÐে অবদান রেখে চলেছেন। নিজ এলাকায়
কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নের তিনি ২০১২ সালে বাহাদুরপুর রহমানিয়া টেকনিক্যাল স্কুল স্থাপন করেন এবং
স্কুলটি পরিচলানার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একজন হিসেবে ভ‚মিকা রাখছেন। এলাকার স্বাস্থ্য
সেবা নিশ্চিত করতে তিনি রাজিয়া বেগম মেটারনিটি এন্ড জেনারেল হাসপাতাল এবং রাজিয়া বেগম
মেটারনিটি ক্লিনিক প’তিষ্ঠা করেন। দুটি প’তিষ্ঠানে আধুনিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা থাকায় ওই এলাকায় মা ও
শিশুদের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়েছে। সেখানকার মানুষের জীবন রক্ষার উপকরণ ও
জরুরি ওষুধপত্রের প’য়োজন মেটাতে বাহাদুরপুর ইউনিয়নে হাওলাদার ফার্মেসি (মডেল ফার্মেসি) স্থাপন করা
হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এবং তাদের এলাকায় তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি
উদ্দেশ্যে বাহাদুরপুরে ড. মো. মতিউর স্থাপন করেন হাওলাদার ফাউন্ডেশন আইটি সেন্টারÑ যা ওই এলাকায়
আইটি শিক্ষা প’সারে ভ‚মিকা রাখছে। অন্যদিকে বিনা বেতনে আধুনিক ও ধর্মীয় ভিত্তিক শিক্ষা নিশ্চিত করার
জন্য তিনি এলাকায় একটি আধুনিক মাদ্রাসা প’তিষ্ঠা করেছেন, সেখানে দরিদ্র শিশুরা শিক্ষা গ’হণের সুযোগ
পাচ্ছে। একইসাথে হাওলাদার ফাউন্ডেশন অরফ্যান ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে এলাকার এতিম শিশুদের মেদ্বলিক
চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। এই ফাউন্ডেশন এলাকার দারিদ্র বিমোচনেও ভ‚মিকা রাখছে। এছাড়া এলাকার
পরিবেশ রক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে বৃক্ষরোপনের কর্মসূচি চলিয়ে আসছে। ড. মো. মতিউর রহমানের
উদ্যোগে এ পর্যন্ত তাঁর এলাকায় ১৫,০০০ বৃক্ষরোপন করা হয়েছে।
অগাধ দেশপে’ম এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই ড. মো. মতিউর রহমান তাঁর পেশাগত ক্ষেত্রে এবং
সামাজিক জীবনে সকল কর্মকাÐ সফলতার সঙ্গে চালিয়ে আসছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং
দুই সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী লায়লা কানিজ বিসিএস ক্যাডার হিসেবে দীর্ঘ ২৫ বছর সরকারি কলেজে

অধ্যাপনা করার পর বর্তমানে রাজনীতি এবং জনসেবায় নিয়োজিত। বর্তমানে তিনি নরসিংদীর রায়পুরা
উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ
সম্পাদক। একমাত্র পুত্র আহমেদ তওফিকুর রহমান অর্নবের জন্ম ১৯৯৬ সালের ১৯ এপি’ল। তিনি
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান থেকে ইকোনমিক এন্ড ইকোনমেট্রিক্সস বিভাগে গ’াজুয়েট হয়েছেন।
মাস্টার্স করেছেন এইচইউএলটি ইউনিভার্সিটিতে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এবং ফাইন্যান্সের ওপর।
অন্যদিকে মেয়ে ফারজানা রহমান ইস্পিতার জন্ম ১৯৯২ সালের ৩১ জুলাই। তিনি বর্তমানে কানাডার
টরেন্টোতে বসবাস করছেন। ইস্পিতা ঢাকার আইইউবি থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসের ওপর গ’াজুয়েট
হয়েছেন। মেকআপ এবং বিউটি ইন্ডাস্ট্রি বিষয়ক এক মজবুত কেরিয়ার নিজের জন্য গড়ে তুলেছেন।
ড. মো. মতিউর রহমানের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে একজন বিসিএস ক্যাডার হিসেবে তাঁর কর্মজীবন
পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, এই মেধাবি কর্মকর্তা যেখানেই কাজ করেছেন সেখানেই শুল্ক আদায়ের
পরিমান কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পিছনে ছিল তাঁর দেশপে’ম থেকে উবুদ্ধ কর্তব্যের প’তি আন্তরিকতা ও
কর্মনিষ্ঠার পাশাপাশি মেধা ও সৃজনশীলতার সাহায্যে সংস্কারসহ নানা পদক্ষেপে শুল্ক আদায় প’ক্রিয়াকে
যুগোপযোগী করে তোলা। তিনি একদিকে যেমন শত শত কোটি টাকা শুল্ক আদায়ে সক্ষম হয়েছেন, তেমন
আরেকদিকে শুল্ক ফাঁকি উদঘাটন ও অটোমেশনসহ সংস্কারমূলক কাজের মাধ্যমে সরকারের হাজার কোটি
টাকা রাজস্ব অর্জনে ভ‚মিকা রেখেছেন। অন্যান্য কর্মক্ষেত্রেও তাঁর এ ধরনের সাফল্য পরিলক্ষিত হয়েছে।
তবে কর্মজীবনে এই সাফল্য তাঁর কাছে সহজে ধরা দেয়নি, নানা প’তিক‚লতা এবং হয়রানীর মুখোমুখি
হয়েছেন। তবু তিনি হতোদ্যম হননি। মেধা ও যোগ্যতার গুণে কর্মজীবনে যে সাফল্য দেখিয়েছেন, তাতে
স্বাভাবিকভাবেই লাভ করেছেন একের এক পদোন্নতি এবং পুরস্কার। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে শুল্ক ফাঁকিবাজ
চক্রসহ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত মহল তাঁর বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালিয়ে গেছে। বিভিন্ন সময়ে তারা
দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে তাঁর বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগ থেকে শুরু করে পত্র-পত্রিকার উদ্দেশ্যপ’ণোদিত
রিপোর্টÑ এমন কি তাঁর ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করতে ভাড়াটে লোক দিয়ে সংবাদ সম্মেলনও করিয়েছে। এক
পর্যায়ে একটি পত্রিকায় বানোয়াট অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মানহানীকর প’তিবেদন প’কাশ করা হলে মো.
মতিউর রহমান বাংলাদেশ পে’স কাউন্সিলে মামলা করতে বাধ্য হন। সেই মামলায় দীর্ঘ শুনানির পর ওই
পত্রিকায় সম্পাদক ও প’তিবেদককে র্ভৎসনা ও সর্তক করে বাদির অনুক‚লে পে’স কাউন্সিল রায় প’দান করে।
ড. মো. মতিউর রহমানের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত মহলটি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিভিন্ন দপ্তরে তাঁর বিরুদ্ধে
বানোয়াট ও বেনামী অভিযোগ দায়েয়ের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একবার নয়,
বেশ কয়েকবারই নালিশ করেছে। এসব অভিযোগের পরিপে’ক্ষিতে তদন্তও হয়েছে। আর এসব তদন্তে
বরাবরই অভিযোগ মিথ্যা বলে প’মাণিত হয়ে আসছে। তিনি যখন কাস্টমস, এক্সসাইজ এন্ড ভ্যাট, ঢাকা
(পশ্চিম)- এর কমিশনার ছিলেন সে সময় তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ গ’হণ, আমেরিকায় অর্থ
পাচার ও অবৈধভাবে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ক্রয়সহ জ্ঞাত আর বহিভর্‚ত সম্পদক অর্জনের বানোয়াট
অভিযোগ এনে দুদকে দরখাস্ত করা হয়েছিল। দুদক তদন্ত করে। তদন্তে বর্ণিত অভিযোগ প’মাণিত না
হওয়ায় ২০২১ সালের ২ মার্চ এক স্মারক পত্রে দুদক সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার অনুসন্ধান
কার্যক্রম পরিসমাপ্ত ঘোষণা করেন। এর আগেও চট্টগ’াম কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার থাকাকালে
তাঁর বিরুদ্ধে আনা ঘুষ ও আর্থিক দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ প’মাণিত না হওয়ায়
দুদক ২০১৩ সালে ২৩ জুলাইতে নথিভুক্তির মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি করে। তার আগেও তিনি চট্টগ’াম কাস্টমস
হাউসের যুগ্ম কমিশনার থাকাকালে সংস্কার বিরোধী মহলের তাঁর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভ‚ত অভিযোগ
প’মাণিত না হওয়ায় ২০০৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর দুদক নথিভুক্ত করেছিল। দুদক যখন দুর্নীতি দমন ব্যুরো
ছিল তখনও মহলবিশেষ বানোয়াট অভিযোগে তাকে হয়রানি করেছিল, যা প’মাণিত না হওয়ায় তদন্ত শেষে
নথিভ‚ক্ত হয়েছিল। বার বার দুদকে অভিযোগ করে ড. মো. মতিউর রহমানকে হয়রানির পাশাপাশি অর্থ
মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদক বিভাগেও অভিযোগ করা হলে অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের
একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ড. মো. মতিউর রহমান তখন বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ)
কমিশনার। অভিযোগ সমূহের বিষয়ে কমিটি তদন্ত করে একটি প’তিবেদন দাখিল করে। সেই প’তিবেদনে
অভিযোগ প’মাণিত না হয়োয় তিনি চাকরিতে বহাল থাকেন। কিšদ তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত দুষ্টচক্র তাতে

থেমে নেই। তাঁর সর্বশেষ সাফল্য কিংবা পদোন্নতি মেনে নেওয়াটা নানা কারণেই তাদের স্বার্থ বিরোধী। এ
কারণেই আবার মাঠে নেমে বিভিন্ন দপ্তরে বানোয়াট অভিযোগ তাঁকে হয়রানী করার অপচেষ্টা চলছে। যদিও
ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত, এবারও শুল্ক ফাঁকি ও নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত দুষ্টচক্র শেষমেষ ব্যর্থ
হবে

সর্বশেষ নিউজ