গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের পরিচালিত হামলায় তিন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরো ১১ জন।
স্থানীয় সময় রোববার (৫ মে) ইসরাইরের ভেতরে এই হামলা চালানো হয়। হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড এই হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
নিহত ইসরায়েলি সৈন্যরা হলেন স্টাফ সার্জেন্ট রোবেন মার্ক মরডেচাই অ্যাসোলিন, ১৯; স্টাফ সার্জেন্ট ইদো তেস্টা, ১৯; স্টাফ সার্জেন্ট তাল শাভিত, ২১।
এই তিনজনের মৃত্যুর ফলে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর মোট ইসরায়েলি নিহত সৈন্যের সংখ্যা দাঁড়াল ২৬৬-এ।
হামাসের সামরিক শাখা কাসসাম ব্রিগেড এই হামলার দায়দায়িত্ব স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, ক্রসিং এবং এর আশপাশে জড়ো হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীকে টার্গেট করে এই হামলা চালানো হয়েছে। পরে প্রকাশিত ভিডিওতে কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি সামরিক ‘কমান্ড সদরদফতর এবং সৈন্য সমাবেশ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে। এতে কয়েকজন সৈন্য নিহত এবং আহত হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, দক্ষিণ গাজার রাফা এলাকা থেকে হামাস ১০টির বেশি রকেট নিক্ষেপ করে।
হামাস জানিয়েছে, তারা সীমান্তে কারেম শালোম সম্প্রদায়ের কাছে সমবেত ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর স্বল্প পাল্লার রকেট নিক্ষেপ করেছে।
যেখানে সৈন্যরা সমবেত হয়েছিল, তার আশপাশেই বেশিভাগ রকেট আঘাত হানে। এসব সৈন্য রাফায় হামলার জন্য ইসরায়েলি বাহিনীর আনা সামরিক সরঞ্জাম পাহারার দায়িত্বে ছিল।
ইসরাইলের আয়রন ডোম বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেন কাজ করেনি, তা নিয়ে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী অনুসন্ধান করছে। তবে হামলার সময় সাইরেন শোনা গেছে। আর ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, হামলার পর তারা কারেম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মতে, রকেট হামলাটি হয়েছে মিসর সীমান্তের রাফা ক্রসিং এলাকার কাছাকাছি থেকে। স্থানটি একটি বেসামরিক আশ্রয়কেন্দ্র থেকে প্রায় ৩৫০ মিটার দূরে অবস্থিত।
হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী রাফায় আরো আক্রমণ করে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইল রাফার একটি বাড়িতে বিমান হামলা চালায়। এতে সাত ব্যক্তি নিহত হয়।
মধ্যরাতের ঠিক আগ দিয়ে আরেকটি হামলায় ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল, জেরুসালেম পোস্ট’