ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটি তদন্ত কার্যক্রম শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিদ্দিক আলী এ তদন্ত জমা দেন। রোববার (১২ মে) জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, তদন্ত কমিটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনাকালে শতাধিক ব্যক্তির বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। তাদের বক্তব্যে এ ঘটনার সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ শতাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বেশকিছু বিষয় উঠে এসেছে। তবে যেহেতু এটি আদালতে বিচারাধীন বিষয় তাই এবিষয়ে আমরা বেশিকিছু বলতে পারছি না।
এক প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, মন্দিরে অগ্নিসংযোগের সাথে দুই ভাই জড়িত কিনা সেবিষয়ে কারও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। মন্দিরে কে আগুন দিয়েছে সেটি খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। দুই সহোদর কিংবা অন্য কোন শ্রমিক আগুন লাগিয়েছে এমন প্রত্যক্ষ কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
গত ১৮ এপ্রিল রাতে পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে সহোদর নির্মাণ শ্রমিক আরশাদুল খান (১৯) ও আশরাফুল খানকে (১৫) নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে একটি মন্দিরের প্রতিমার কাপড়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মারধরে আরও কয়েকজন শ্রমিকও আহত হন। ঘটনার পরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সিদ্দিক আলীকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মধুখালী থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।