নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা পাগলা রেলস্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতপরিচয়ের (৫০) এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আনুমানিক ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি ট্রেনটির ইঞ্জিনের সামনের অংশে বসে যাচ্ছিলেন বলে ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীরা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় ট্রেনটি পাগলা রেলস্টেশনের সামনে আসলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা সাড়ে ১১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অজ্ঞাতপরিচয়ের ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা স্থানীয় এক যুবক বলেন, ‘ঢাকা থেকে একটি ট্রেন নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিলেন। সেই ট্রেনটির ইঞ্জিনের সামনের অংশে বসেছিলেন এই ব্যক্তি। ফতুল্লা পাগলা রেলস্টেশনে পৌঁছালে ট্রেন থেকে নামার চেষ্টা করেন তিনি। এতেই পড়ে গিয়ে ট্রেনের নিচে চলে যান। সঙ্গে সঙ্গে তার দুই পায়ের ওপর দিয়ে উঠে যায় ট্রেনের চাকা। ট্রেনের নিচে পড়ে তার দুই পা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। তবে আশপাশের কেউই তাকে ধরে হাসপাতালে নিচ্ছিল না। উপায় না পেয়ে আমি একাই ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় এক যুবক ফতুল্লায় ট্রেনে কাটা পড়া এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে প্রকৃতির। তার মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।’মঙ্গলবার (১৪ মে) একটি লাইটার জাহাজে করে কেএসআরএম লাইটার জেটি সদরঘাটে আনা হয়। এখান থেকে তারা নিজ নিজ বাড়ি ফিরবেন।
নাবিকদের বরণ করে নিতে বন্দর জেটিতে বিকেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল। এ সময় নাবিকদের স্বজন ও কেএসআরএম গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসেবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছাল।
কেএসআরএম গ্রুপ জানায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ৫৬ হাজার টন পণ্য চুনাপাথর রয়েছে। এতে প্রায় ১৯০ মিটার লম্বা জাহাজটির ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতার পরিমাপ) বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২ মিটার। জাহাজটির ড্রাফট বেশি থাকায় কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু পরিমাণ পণ্য খালাস করে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হয়। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে। এ জন্য দেশে পৌঁছার পরও নাবিকদের ঘরে ফিরতে একটু সময় লাগেছে।
২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।