দেশে ২০২৩ সালে মোট ৫১৩ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। যার মধ্যে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ২২৭ জন এবং কলেজ শিক্ষার্থী ১৪০ জন। বিশ্বব্যাপী শিশুদের মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটার ফলস্বরূপ তাদের মধ্যে এই আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে।
শনিবার শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সহায়ক একটি কর্মশালায় বক্তারা এ দেন। আঁচল ওয়েলবিং কর্নার (আঁচল ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান) ও নাসিরউল্লাহ সাইকোথেরাপি ইউনিট যৌথভাবে ‘শিশুদের মনের যত্ন: মনোবল বৃদ্ধির উপায়’ শীর্ষক এ কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালায় ৭০ জন অভিভাবক ও অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক জোহরা পারভীন, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সাবিহা জাহান, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জোবেদা খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আত্মহত্যার কারণ প্রসঙ্গে অধ্যাপক জোহরা পারভীন বলেন, আমাদের পৃথিবীটা বৈশ্বিক গ্রামে রূপান্তরিত হওয়ায় জেনারেশনাল গ্যাপ তৈরি হচ্ছে। গত দুই বছরে এই পরিবর্তনের মাত্রা বেশি। এখনকার বাচ্চাদের মধ্যে যে পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে তার পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে পরিবেশ, সংস্কৃতি ও এখনকার ধারা।
ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সাবিহা জাহান মনে করেন, কর্মশালাটিতে অতিথিদের অভিজ্ঞতা ও গল্পগুলো শুনে অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন নিয়ে আসা যেতে পারে।
(এইদিনএইসময়/বিজয়)