বাজার থেকে এসএমসি প্লাস ও রিচার্জের সব ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।
একই সঙ্গে অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় বিক্রির অভিযোগে করা মামলায় এসএমসি প্লাস বাজারজাতকারী কোম্পানি একমির কর্ণধার তানভীর সিনহাকে ১৬ লাখ টাকা এবং রিচার্জের বাজারজাতকারী কোম্পানি দেশবন্ধুর কর্ণধার গোলাম মোস্তফাকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার এ নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান। গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এসএমসি প্লাস-এর চেয়ারম্যান ওয়ালিউল ইসলামকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হাসান নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩-এর অধীনে মামলাটি দায়ের করেন।
তিনি বলেন, একমি ও দেশবন্ধু গ্রুপের কর্ণধার অনুমোদন না থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ কারণে আদালত তাদের জরিমানা করেন। এর আগে এসএমসি গ্রুপের কর্ণধারকেও জরিমানা করা হয়েছে। একইসঙ্গে রিচার্জ ও এসএমসি প্লাস বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। কোম্পানিগুলোও বলেছে, তারা বাজার থেকে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রত্যাহার করবেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে ৭টি কোম্পানির পাঁচ ইলেক্ট্রোলাইট পানীয় নিষিদ্ধ চেয়ে মামলাটি করেন এ পরিদর্শক।
এগুলো হলো: একমি ও এসএমসি-এর এসএমসি প্লাস, প্রাণ-এর অ্যাক্টিভ, ব্রুভানা বেভারেজ লিমিটেড-এর ব্রুভানা, দেশবন্ধু ও আগামী’র রিচার্জ এবং আকিজ-এর টার্বো।