তার নাম, খাজিদা আক্তার রাত্রী (১৭)সে মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলো।
সোমবার সকাল সড়ে সাতটার দিকে
দক্ষিন যাত্রাবাড়ী শহিদ ফারুক সড়ক রোডে ৪ তলা বাড়ির ভাড়া বাসায় ঘটনাটি ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সকাল সাড়ে আটটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতার সৎ মা জায়েদা আক্তার বলেন, খাদিজা ছোট সময় থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল।
সকালে বাসার সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম,
সকালে প্রায় দিনই খাদিজা ছাদে উঠে
হাঁটা হাটি করত।
তার ছোট বোন আমেনা আক্তার কনা (৯)
কনা সহ ।
আজ সকালে খাদিজার ছোট বোন আমার মেয়ে কণা ঘুমিয়ে ছিল।
পরে কণা ঘুম থেকে উঠে সেও ছাদে গিয়ে হাটাহাটি করার সময় তার বোন খাদিজাকে দেখতে না পেয়ে তার মা বাবাকে বলছে খাদিজা আপুকে ছাদে খুঁজে পাচ্ছি না সে তো ছাদে নেই।
পরে তার বাবা ছাদে গিয়ে উপর থেকে দেখতে পায় নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে খাদিজা।
পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে সকালে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতার মা জায়েদা আরো বলেন ছাদের চারপাশের রেলিং অনেক উঁচু ছিল। তবে খাদিজার নিচে কিভাবে পড়ে গেছে আমরা কেউই দেখতে পাইনি।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক
মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন মৃত দেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় অবগত করা হয়েছে।
মৃতা খাদিজা মুন্সিগঞ্জ বিক্রমপুরের ঘড়ির, চশমা ব্যবসায়ী মো: কাওসার আহমেদের মেয়ে।দুই বোনের মধ্যে সে ছিল বড়।
বর্তমানে দক্ষিন যাত্রাবাড়ী শহিদ ফারুক সড়ক রোডে ৪ তলা বাড়ির চারতলায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থাকত।
(এইদিনএইসময়/বিজয়)