ইরানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান। আনুষ্ঠানিক তদন্ত না হলেও দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ সম্পর্কে কথা বলেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
আজ সোমবার সকালে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনাস্থলে ‘কোনও জীবিত ব্যক্তি’ পাওয়া যায়নি। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি পুড়ে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ানও ছিলেন। ঘন কুয়াশার মধ্যে হেলিকপ্টারটি পার্বত্যাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়।
কর্মকর্তাদের দাবি, বৈরি আবহাওয়াই এই দুর্ঘটনার মূল কারণ। প্রেসিডেন্টের বহরে মোট তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে অবতরণ করলেও ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। নিরাপদে ফেরা হেলিকপ্টারে ছিলেন ইরানের জ্বালানি মন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহনমন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বেল ২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টার বহন করছিল। এই মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের হেলিকপ্টার ইরানের কাছে বিক্রি করার কথা নয়। সে হিসাবে, এটি অন্তত ৪৫ বছরের পুরোনো।
পল বিভার নামে একজন উড়োজাহাজ বিশেষজ্ঞ আল-জাজিরাকে বলেন, হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে ‘অবশ্যই’ মেঘের আচ্ছাদন, কুয়াশা, জলীয় বাষ্প এবং নিম্ন তাপমাত্রা ভূমিকা রেখেছে। হেলিকপ্টারগুলো ফিক্সড-উইং প্লেনের মতো বিরূপ আবহাওয়ায় সহজে উড়তে পারে না। হেলিকপ্টারে সেই সুবিধা নেই।
(এইদিনএইসময়/বিজয়)