দৃশ্যমান হচ্ছে পদ্মা সেতু রেল প্রকল্প। বিশাল এই কর্মযজ্ঞে দিনরাত ব্যস্ততা শ্রমিকদের। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে, মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের ৫ হাজার ৪শ’ মিটার পাথরবিহীন রেলপথ ঢালাইয়ের কাজ। ৭টি মুভমেন্ট জয়েন্টের কাজও শেষ।
অত্যাধুনিক সার্ভে মেশিনে নিখুঁতভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বসানো হয়, পদ্মা সেতুর প্রতিটি রেল স্লিপার। পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের ট্র্যাক ইঞ্জিনিয়ার লোকমান হোসেন বলেন, সবথেকে লেটেস্ট প্রযুক্তি এটা। এই মেশিনে কাজ আমরা খুব সহজভাবে করতে পারি।
ভাঙ্গা-মাওয়া অংশের ভায়াডাকসহ ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের নির্মাণ শেষ হয়েছে। সেতু ও ভায়াডাক বিভাগের সিনিয়র প্রকৌশলী জহিরুল হক বলেন, আমরা যেভাবে রাত-দিন কাজ করছি সে অনুযায়ী চলতি মাসেই সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালু হয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, পুরো পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পে কাজের অগ্রগতি ৭৩ শতাংশ।
পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্প সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় রেল লিংক প্রকল্পের অধীন ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের ঠিকাদার চীনের চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরইসি)।
পদ্মা সেতু রেল লিংক প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও ভাঙ্গা থেকে যশোর।
পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের মাওয়া স্টেশন থেকে ফরিদপুরের ভঙ্গা পর্যন্ত দূরত্ব রেলপথে ৪২ কিলোমিটার। ওই ৪২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ শেষ পর্যায়ে। পদ্মা সেতুর ৭৫০ মিটার বাদে ৪১ দশমিক ২৫০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথের ৪২ কিলোমিটারের মধ্যে পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের ভায়াডাক রয়েছে আট কিলোমিটার। আর জাজিরা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার।
পদ্মা সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে এ পর্যন্ত ৫ দশমিক ৪ কিলোমিটার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। সেতুর মাঝের একটি অংশে ৭৫০ মিটার রেলপথ নির্মাণকাজ চলছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই কাজ শেষ করা হবে। এরপর যাত্রীবাহী তিনটি কোচ (বগি) যুক্ত করে একটি ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হবে।