ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের কাল্লাকুরিচি জেলায় বিষাক্ত মদ পানে অন্তত ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গত কয়েকদিনে বিষাক্ত মদ পানে অসুস্থ হয়ে আরও অন্তত ৬৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই থেকে কাল্লাকুরিচি জেলা প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে। মৃত ও অসুস্থদের বেশিরভাগই জেলার করুণাপুরম এলাকার বাসিন্দা।
ছেলেকে হারানো এক মা বলেন, তার ছেলের প্রচণ্ড পেটে ব্যথা এবং চোখ খুলতে কষ্ট হচ্ছিল। সে জানিয়েছিল আরক পান করেছে। প্রথমে মাতাল আখ্যা দিয়ে তাকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রাজ্য সরকারের উচিত সমস্ত মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া।
আরেক মা বলেন, আমার ছেলের পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছিল। সে দেখতে বা শুনতে পাচ্ছিল না। এটি কারও সাথে হওয়া উচিত নয়। মদ বিক্রি বন্ধ করুন।
ইতোমধ্যে দেশটির পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেহভাজন এক অবৈধ মদ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার এবং আরও দুইজনকে আটক করেছে।
বিষাক্ত মদ পানেই এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে এনডিটিভিকে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় একজন ঊর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা। এনডিটিভিকে তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করছি তারা আসলে কী পান করেছে। আমরা তিনজনকে জেলে নিয়েছি। যারা মারা গেছেন তাদের অধিকাংশই ব্যক্তিগত মাধ্যম ব্যবহার করে মদ কিনেছিলেন, কোনো সরকার পরিচালিত মদের দোকান থেকে কেনেননি।
এক বিবৃতিতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ২৬ জন প্যাকেট থেকে ‘আরক’ পান করেছিলেন আর ফরেনসিক তদন্তে তাতে বিষাক্ত মিথানলের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। এ ঘটনায় রাজ্য সরকার জেলা পুলিশ প্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার জায়গায় নতুন আরেকজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দিয়েছে।
জেলা কালেক্টরকেও বদলি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রহিবিশন এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের ডেপুটি সুপার, তিনজন পরিদর্শক ও একাধিক সহ-পরিদর্শককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
(এইদিন এইসময়/জাকারিয়া শুভ)