চলতি বছর অনুষ্ঠিতব্য সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশ কিছু বিরোধী দল অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই সরকারের অধীনে, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনও নির্বাচনে আমরা যাবো না। তারা ভোট চুরির প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। জনগণকে বাদ দিয়ে দেশ দখলের প্রক্রিয়া অংশমাত্র এসব নির্বাচন। এ ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।’
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘এই নির্বাচন একটি ফাঁদ। বিরোধী দলগুলো এই ফাঁদে পা দেবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোনও সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। প্রথমত, নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা নেই। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে নিয়েছে। এসব নির্বাচনে অংশগ্রহণ মানেই সরকার, ইসিকে জাস্টিফিকেশন দেওয়া। তারা পুরো অ্যাটেনশন অন্যদিকে নিতে চায়। আমরা এখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি। ফলে ফোকাসটাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সরকার ও ইসি এই নির্বাচন করছে।’
তবে ধর্মভিত্তিক দল ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশ নেবে আমাদের দল। আমরা ইউপিতে অংশ নিয়েছি। জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলোয় আমরা অংশ নিয়েছি। সেদিক থেকে পাঁচ সিটি নির্বাচনেও অংশ নেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।’
নির্বাচনে কমিশনে নিবন্ধিত বিরোধী দলগুলোর মধ্যে কেউ কেউ অংশ নিলেও বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো অংশ নেবে না।
বিএনপির প্রভাবশালী একটি সূত্র জানায়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটি নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি ও বিরোধী দলগুলো পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনে অংশ না নিলেও ইস্যুগুলোকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করবে।
উল্লেখ্য, রবিবার (৫ মার্চ) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, গাজীপুর, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে এক বা দুটির নির্বাচন জুনের মধ্যে হতে পারে।